অনুপ্রেরনা নিন ডেল কার্নেগির বাণী থেকে

Blog অনুপ্রেরণা উক্তি সচেতনতা

ডেল কার্নেগী একজন আমেরিকান লেখক এবং তিনি আত্মোন্নতি, বিক্রয় দক্ষতা, কর্পোরেট প্রশিক্ষণ, পাবলিক ভাষাভাষী, এবং আন্তঃব্যক্তিগত দক্ষতা ইত্যাদি বিষয়ে কোর্স তৈরি করতেন। তার অনুপ্রেরণায় অসংখ্য মানুষ নিজের লক্ষ খুঁজে পেয়েছিলেন। তার বিখ্যাত কিছু বাণী থেকে আপনিও অনুপ্রাণীত হন। ডেল কার্নেগির বাছাই করা সেরা উক্তিগুলো আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সহায়তা করবে।

১. নিজের ইচ্ছাকে রোজ কাজে লাগান। যতবার পারেন চেষ্টা করুন। কঠিন কোন কাজের চেষ্টা করুন। যে কাজ করতে আপনার আদৌ কোন ইচ্ছে নেই। সুখকে একবার ফিরিয়ে দিন। সুখকে অন্তত একবারের মতো ত্যাগ করুন। এটাই হলো ইচ্ছা সমন্বিত কাজের পথ, নিয়মিত কাজের পথ, সৎ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত কাজের পথ।

২. মনে রাখবেন, আপনি কে বা আপনার কি আছে তার উপর আপনার সুখ নির্ভর করে না, আপনার সুখ নির্ভর করে আপনি কেমন চিন্তা করেন তার উপর।

৩. কর্মহীন জীবন হতাশার কাফনে জড়ানো একটি জীবন্ত লাশ।

৪. অস্পষ্টতায় ভরা দুরের কিছুর চেয়ে কাছের স্পষ্ট কিছু দেখাই আমাদের দরকার।

৫. আত্মসম্মান, আত্মজ্ঞান, আত্ম নিয়ন্ত্রন- এই তিনটিই শুধু মানুষকে সর্বশক্তিমান করে তুলতে পারে। সঠিক জীবন-যাপন নির্ভর করে এদের উপরে।

৬. সব সময়-ই অপর ব্যাক্তিকে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব উপলব্ধি করার সুযোগ দিন।

৭. আমি চাইতাম বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতো সফল হতে; এর জন্য আমি অনেক পরিশ্রমও করেছি কিন্তু আমি কোনভাবেই সফল হইনি, অবশেষে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম- অন্যের মতো নয়- বরং আমি হবো আমার মতো।

৮. কি কাজ করতে চলেছেন সে সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকার অর্থ, আপনি অন্ধকারের যাত্রী কোন অন্ধের মত।

৯. জীবনে পাওয়ার হিসাব করুন, না পাওয়ার দুঃখ থাকবে না।

১০. দক্ষতা অর্জনের পথ হল- ১) অপরের অভিজ্ঞতা মনে রাখুন ২) নিজের উদ্দেশ্য সামনে রাখুন ৩) সাফল্যের জন্য মন কে তৈরি করুন ৪) যতটা সম্ভব অভ্যেস করুন।

১১. দাম্পত্য জীবনে সুখি হতে চান? তাহলে-পরস্পরকে অবিশ্বাস করবেন না আর ঘ্যানর ঘ্যানর করবেন না।

১২. দুশ্চিন্তা দূর করার এক নম্বর উপায় হল- ব্যস্ত থাকা।

১৩. নিজের কাজকে ভালোবাসুন। আমাদের কাজের পেছনে যখন অনুভুতি কাজ করে আমরা তখনই সবচেয়ে সেরা হয়ে উঠি।

১৪. পৃথিবীতে ভালবাসার একটি মাত্র উপায় আছে, সেটা হল প্রতিদান পাওয়ার আশা না করে শুধু ভালবেসে যাওয়া।

১৫. ভদ্র আচরন করতে শিক্ষা লাগে, অভদ্র আচরন করতে অজ্ঞতাই যথেষ্ট।

১৬. মনে রাখবেন আজকের দিনটি গতকাল আপনার কাছে আগামীকাল ছিল। যেটার কথা ভেবে গতকাল আপনি চিন্তিত ছিলেন, আজ নয়।

১৭. মানুষ যখন রাগান্বিত অবস্থায় থাকে, তখন তাকে কোনভাবে বিরক্ত করা উচিত নয়। কেননা তা থেকে চরম ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে।

১৮. মানুষের গুণ নিয়ে প্রতিযোগিতা করুন, দোষ নিয়ে নয়।

১৯. যা আপনাকে পীড়া দেয়, এমন বিষয় নিয়ে এক মিনিটের বেশি ভাববেন না।

২০. সাফল্য হল আপনি যা চান তা হাসিল করা। আনন্দ হল আপনি যা চান তা পাওয়া।

২১. মন্দ সহচর্যের চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক ভালো।

২২. সবসময় হাসতে হবে। হাসির মাধ্যমে আমরা জীবনের অনেক সমস্যাকেই দূর আকাশে পাঠাতে পারি।

২৩. জগতে যা সবচেয়ে খারাপ হতে পারে তা মেনে নাও। তুমি যদি সবচেয়ে বড় হতাশাগ্রস্ত হও তাহলে মেনে নাও মৃত্যু তোমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হতে পারে। এখন তুমি তোমার কাজে মনোযোগী হও। মনে রেখ শরীরের জন্য জীবন নয় বরং জীবনের জন্য শরীর। তুমি হয়তো বা চালস ডিকেন্স বা শেক্সপিয়ার হতে পারবে না। কিন্তু তুমি তোমার সময়কালের সেরা একজন হতে পার।

২৪. আপনি ভাল মানুষ হলেই পুরো জগৎবাসী আপনার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করবে এমনটা আশা করা ঠিক নয়। আপনি নিরামিষভোজী হলে কি কোন ষাঁড় আপনাকে তাড়া করবে না?

২৫. আমরা যখন আমাদের কর্তব্য – কর্মে অবহেলা দেখাই, কোন দায়িত্বকে নিষ্ঠার সঙ্গে গ্রহন করি না, তখনই অকৃতকার্যতা আসে।

২৬. মনে রাখবেন অন্যায় সমালোচনা অনেক ক্ষেত্রেই আড়াল করা প্রশংসাই: মনে রাখবেন মরা কুকুরকে কেউ লাথি মারেনা।

২৭. মনে রাখা প্রয়োজন যে, একজন হতাশা গ্রস্থ মানুষের চেয়ে একজন সুখী মানুষ হাজার গুন বেশী কর্মক্ষম।

২৮. যিনি নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন তিনিই সফলতা লাভ করেছেন।

২৯. যে স্ত্রীরা স্বামীকে সুখী করতে পারেন, তারা নিজেরাও তারই সঙ্গে সুখী হন। তারা অতি সহজেই বলতে পারেন যে স্বামীর সহযোগিতায় আমাদের জীবন কানায় কানায় পূর্ণ।

৩০. আব্রাহাম লিঙ্কন বলতেন, শুধু আজকের জন্য আমি সুখী হব।
এতে বোঝা যায় আব্রাহাম লিঙ্কন যা বলেছেন তাই ই ঠিক যে, অধিকাংশ মানুষ ই যতখানি সুখী হতে চায় ততখানি সুখী তারা অবশ্যই হতে পারে। তাদের মন যা চায় ততটাই তারা হতে পারে। সুখ বাইরের বস্তু নয়- সুখ হল অন্তরের।

৩১. যার কথার চেয়ে কাজের পরিমান বেশী, সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়, কারণ যে নদী যত গভীর তার বয়ে যাওয়ার শব্দ ততো কম।

৩২. যে অবস্হায়ই পড়ুন না কেন- অবস্থার
ভালো মন্দ না দেখে বিচার করা উচিত
নয়।

৩৩. নিজের ইচ্ছাকে রোজ কাজে লাগান। যতবার পারেন চেষ্টা করুন। কঠিন কোন কাজের চেষ্টা করুন। যে কাজ করতে আপনার আদৌ কোন ইচ্ছে নেই। ‘সুখকে’ একবার ফিরিয়ে দিন। সুখকে অন্তত একবারের মত ত্যাগ করুন। এটাই হলো ইচ্ছা সমন্বিত কাজের পথ, নিয়মিত কাজের পথ, সৎ উদ্দেশ্যে প্রনোদিত কাজের পথ।

৩৪. যদি ভালোভাবে বাচতে চান তা হলে মনে রাখবেন-সমস্যাকে তুচ্ছজ্ঞান করতে হবে, আর্শীবাদকে গণ্য করতে হবে।

৩৫. অনুকরন নয়, অনুসরন নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন।

তথ্যসূত্র:

উইকিপিডিয়া

ডেল কার্ণেগী রচনাসমগ্র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *