আইন কমিশনের ‘হিন্দু পারিবারিক আইন’ সংশোধনী খসড়ায় বোঝা যায়, এর প্রনেতাদের ‘হিন্দু-আইন’ সম্পর্কে অজ্ঞতা আছে, যদিও তাঁরা সুন্দর ভাষায় হিন্দুদের বাঁশ দিতে চেয়েছেন। অনেকে এটিকে ‘হিন্দু পারিবারিক আইন’র ‘ইসলামীকরণ’ আখ্যা দিচ্ছেন। ‘হিন্দু পারিবারিক আইন’ কয়েক হাজার বছর পুরাতন, এর কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়তো আছে, কিন্তু এরপরও এটি ‘অতি-উত্তম’। হিন্দুর সংসার একটি পারফেক্ট গার্হস্থ্য জীবন। বিয়ে-বিচ্ছেদ প্রায় শূন্য। ধর্মীয় আচার-আচরণ প্রকৃতি-নির্ভর ও সংস্কৃতিতে ভরপুর। এসব পরিবর্তন করার অধিকার কি আপনার আছে?
সরকার যদি ধর্ম-নির্বিশেষে এর নাগরিকদের কল্যাণ করতে চান, তাহলে সংসদে বিল এনে একসাথে সর্বক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমান অধিকার, বিবাহ বিচ্ছেদ, জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে রেজিস্ট্রেশন, বা ইত্যাকার সকল বিষয়ে আইন পাশ করতে পারেন। এরশাদ যেমন ১৯৮৮ সালে ‘ভোটার বিহীন’ সংসদে মাত্র ১০মিনিটে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বিল পাশ করেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারও তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে নিমিষে তা করতে পারেন, প্রশ্ন হলো, করবেন কিনা? না করলে ‘হিন্দু পারিবারিক আইন’-এ হাত দেয়ার দরকার নাই!