আগামী ১৭ই মার্চ থেকে আরম্ভ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ উৎসব।

অনিমিত্র চক্রবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ভারত

আগামী ১৭ই মার্চ থেকে আরম্ভ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ উৎসব। এই উপলক্ষে শেখ মুজিবর রহমানের জীবনী নিয়ে একটি চলচ্চিত্রের যৌথ প্রযোজনা বিষয়ক একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে। এবং এই বিশেষ সৌজন্যতার অন্তর্ভুক্ত অংশ হিসেবে আকাশবাণী কলকাতা ও বাংলাদেশ বেতারে একে অপরের অনুষ্ঠানের স্বাদ লাভ করবেন পিপাসুরা।

প্রশ্ন – এই জীবনীমূলক চলচ্চিত্রে কি ‘৪৬-এর আগস্ট মাসের সম্মুখ সমরে/ডাইরেক্ট একশন ডে-তে মুজিব সাহেবের কাজকর্মের বিবরণ থাকবে? ১৯৭১-৭২ সালে শুধুমাত্র রমনা কালীবাড়ীর পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রার্থনারত মৃত্যুঞ্জয়ী পরমানন্দ গিরির পত্নী ও জটালি মাকে মুজিবের ধমকের সুরে “না” বলে ঘর থেকে প্রায় জোর করে বের করে দেওয়ার প্রসঙ্গটি থাকবে!? মুজিবের আমলে যে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে সহস্র সহস্র হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিল সেই তথ্য থাকবে?

উত্তরঃ না। থাকবে না, থাকতে পারেনা। ১৯৭৪-এ ঢাকা শহরে পাকিস্তানের ভুট্টোর আগমন উপলক্ষে আনন্দে উদ্বেল মুজিবের প্রসঙ্গও এই চলচ্চিত্রে থাকবেনা। কেন উদ্বেল ছিলেন মুজিব? একমাত্র কারণ – বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল মূলত হিন্দু গণহত্যার। হিন্দু খুন হলে কারোর কোনদিনই কিছু যায় আসেনা, কি মুজিব কি বাম-সেক্যুলার।

সমগ্র ভারতবর্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে ও বিপক্ষের শক্তিসমূহের মধ্যে যখন একটি নির্দিষ্ট লাইন টানা হয়ে গেছে, সম্পূর্ণরূপে পরিস্কার হিন্দুর পক্ষে ও বিপক্ষে কে তখন এরূপ সিদ্ধান্ত শুধু ভ্রান্তই নয়, সংগ্রামী হিন্দুর প্রতি এক চরম অপমানও বটে।

হিন্দু জাতীয়তাবাদ ও ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষতা একসাথে চলতে পারেনা। CAA-এর পক্ষের আন্দোলনকে লাইনচ্যুত করার এক সুশীল প্রচেষ্টা হল এটি।

মাননীয় কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর মহাশয় কি বাঙ্গালী হিন্দুর সর্বনাশের ব্যাপারে সম্পূর্ণরূপে তথ্যহীন? তাঁকে এ বিষয়ে আলোকিত করার কেউ নেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায়?

লেখক: অনিমিত্র চক্রবর্তী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *