আজকে কি আপনি স্বপরিবারে ঘরে থাকা তুলসী দেবীকে জল এবং দ্বীপ অর্পণ করে , তুলসী বন্দনা করবেন ???
“ধর্মো রক্ষতি রক্ষিতঃ”🙏
অর্থাৎ , নিজের জীবনে ধর্ম আচরণ করলে ধর্মই তাকে এবং তার সমাজকে রক্ষা করবে।
কোনও ধর্মকে ছোট করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়🙏
নিজের ধর্মকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য🙏
৯ পৌষ , ১৪২৮
২৫শে ডিসেম্বর ২০২১
আজ “তুলসী পূজন দিবস”🙏
আজ থেকেই দিনের আয়তন বড়ো হওয়া শুরু হয় এবং রাতের আয়তন কমতে শুরু করে, যার করণে আজকের দিনকে “বড় দিন” বলা হয় এবং এই তথ্য শত সহস্ত্র বছরের ও আগে সনাতনী মুনিঋষিরা জানতেন এবং পঞ্চিকা আকারে লিপিবদ্ধ করতেন…
অথচ, অনেক হিন্দুর কাছে আজ “আদিখ্যেতা দিবস”
আমরা সবাই জানি পিতামহ ভীষ্ম সারা শরীরে শতাধিক তীর নিয়ে 54 দিন বেঁচে থাকার পর স্বেচ্ছা মৃত্যু গ্রহন করেন আর যীশু নামক ব্যাক্তি মাত্র 4 টা পেরেকেই মারা গিয়েছিলো..
একজন সনাতনী জানেন যে যীশু বিশ্বাসী দের জন্য ক্রুশের উপর ঝুলেছিলেন এবং মারা গেছেন..
কিন্তু বেশিরভাগ সনাতনী এটা জানেনা ভগবান শিব সমগ্র সৃষ্টি কুলকে রক্ষা করতে বিষপান করেছিলেন এবং অমর হয়ে আছেন…
আজ হিন্দুরা অনেকেই কেক খেয়ে দিনটি উদযাপন করবেন জানি…
অথচ আপনার পরিচিত একজন খ্রিস্টান নারী দেখান যে উপোস করে এ বছর অষ্টমীর অঞ্জলি দিয়েছিলো…
সেকুগিরি দেখানো হিন্দুরাই এই ধর্ম কে একদিন বিলুপ্ত করে দেবে…
আপনার ধর্ম সভ্যতা ও সংস্কৃত সম্পর্কে জানুন۔۔
কখনো ছেলেকে বালকগোপাল বা মেয়েকে রাধার সাজে না সাজানো হিন্দু মানুষটি, আজকের দিনে সন্তানকে জোকার সাজাবে দেখতে পাবেন…
বাড়িতে একটি তুলসী গাছ নেই অথচ প্লাস্টিকের গাছ কিনে ঘর সাজানো অনেক হিন্দুদের আজ দেখতে পাবেন…
কিন্তু একটা লক্ষী গণেশের ছবি দেওয়া ক্যালেন্ডার আপনি কোনও খ্রীস্টানের ঘরে দেখতে পাবেন না…
অনেক হিন্দু পিতা মাতারা ছোট্ট ঘুমন্ত সন্তানের মাথার পাশে উপহার রেখে মিথ্যে গল্প শুনিয়ে আনন্দ পাবেন… কিন্তু বছরে একটি দিন ও বলবে না “আয় , আমরা গীতা পাঠ করি” বা “আজকে সন্ধ্যায় একসাথে প্রার্থনা করি”
এটা কি আমাদের সংস্কার?
এটা কি আমাদের সংস্কৃতি?
জয় তুলসী মাতা🙏
জয় শ্রী কৃষ্ণ 🙏
হর হর মহাদেব 🙏
জয় শ্রী রাম🙏