মিজানুর রহমান আজহারী একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে রেকর্ড সাবস্ক্রাইব পেয়ে তার চ্যানেলটি আলোচনায় চলে এসেছে। অথচ চ্যানেলে এখন পর্যন্ত কোন ভিডিওই পোস্ট করা হয়নি! মিজানুর রহমান এমনই জনপ্রিয় মাওলানা। এটা কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশের একটি চিরায়ত ছবি। এখানে সত্যিকারের মহানায়ককে জনগণ সন্মান দেয় না। বরং জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়া ফ্রডগুলোকে নিয়ে মাতামাতি চলে। বিদ্যাসাগর আর রামকৃষ্ণ সমসাময়িক ছিলেন। রামকৃষ্ণ জাতপাত কুসংস্কার নিয়ে ধর্ম ব্যবসা করে ঠাকুরের মর্যাদা নিয়ে বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে ঠাঁই পেলেও বিদ্যাসাগরকে বাঙালি ভুলেই থাকল। আধুনিক বাঙালির ‘ঈশ্বর’ তো বিদ্যাসাগর। তাঁর ছবির ঠাঁই হলো না বাংলার ঘরে ঘরে…
মুসলমানরা এমনিতেই ধর্মীয় বিশ্বাসে জঘন্যতম বর্ণবাদে নিমজ্জিত। জীবনরক্ষাকারী ঔষধের আবিষ্কারক, জনহিতৈষী কোনো ব্যক্তি যদি অমুসলিম হন আর তিনি মারা যান তাহলে তিনি ইসলাম গ্রহণ না করে মরে গিয়ে যে কি পরিনাম ভুল করেছেন, তার কোন কিছুই কোন কাজে আসবে না…ইত্যাদি বলে বিষোদগার করা সম্প্রদায়ের কাছে মাওলানা আজহারীই যে গুরুত্বপূর্ণ হবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। মনে রাখতে হবে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মত ধর্ষক যুদ্ধাপরাধী আলেম বাংলাদেশে প্রবাদপ্রতিম পুরুষ! আজহারী তারই শিষ্য। আসলে ভারতীয় উপমহাদেশে শুধু অশিক্ষিত মানুষজনের উপর ধর্মান্ধতার দায় চাপানো হয়। বহু শিক্ষিত জ্ঞানী লোকজনকে দেখা যায় আশ্রমের একটা ফ্রড বাবাজীর পায়ের সামনে ভক্তিতে মাথা ঠেকাচ্ছে। মুসলমান হলে এই চান্স দুইশত ভাগ। মুসলমান ধর্ম ত্যাগ না করা পর্যন্ত সে অশিক্ষিত, অমানবিক, বর্বর, সাম্প্রদায়িক, রেসিস্ট…!
আজহারীর রেকর্ড সাবস্ক্রাইব তাই স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত।