আজ গুগল ম্যাপে চন্দ্রনাথ মন্দির সার্চ দিতেই দেখলাম চন্দ্রনাথ মন্দিরের লোকেশনের সাথে চারটা মসজিদ বসিয়ে দেয়া হয়েছে। আল-আকসা মসজিদ, তালিবান মসজিদ, বাবরী মসজিদ এবং ফিউচার বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদও চন্দ্রনাথ মন্দিরে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। ম্যাপে বসেছে মানে মানসিকতাতেও বসেছে, শুধু বাস্তবায়ন করাই বাকী আছে।
এটা শুধু মাত্র হিন্দুদের তীর্থধাম বা ট্যুরিস্ট এরিয়া ভেবে ট্যুর করতে আসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, এটা দখলের প্ল্যানও কেউ কেউ করছে।
ট্যুরিস্ট নিছক প্রকৃতি ভ্রমণে আনন্দ নেয়, ট্যুরিস্ট নিশ্চয় মসজিদ বানাবার প্ল্যান নিয়ে ঘুরে না। যারা অন্যের পবিত্র তীর্থধামে নিজেদের ধর্মীয় ঝান্ডা স্থাপনের চিন্তা নিয়ে ঘুরে তারা ট্যুরিস্ট না।
চন্দ্রনাথ মন্দির কতৃপক্ষ বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখবেন, চন্দ্রনাথ মন্দির এখন অন্যদের নিশানা হয়ে আছে। অবহেলায় সীতাকুন্ড পাহাদের অনেক অংশই দখল হয়ে গেছে, আরো অবহেলায় পুরো তীর্থধামই দখলের শিকার হয়ে যাবে, পাকিস্তান- আফগানিস্তানের মন্দিরগুলোকে দেখুন, ইতিহাস হয়ে গেছে। আজ চন্দ্রনাথ পাহাড়ে ট্যুরিস্টদের দম-আটকানো ভীড়ের ছবি দেখে শিব চতুর্দশীর ভীড়ের কথা মনে পড়েছে।
একটিভ সনাতনী দাদারা অনুগ্রহ করে গুগল ম্যাপে এইসব টার্গেটেড লোকেশনের ছবি এ্ড করে এই ফেইক লোকেশন প্লেসগুলোকে গুগল ম্যাপ থেকে স্থায়ীভাবে রিমুভ করার ব্যাবস্থা করুন, এবং কিছুদিন পর পর চেক করবেন নতুন করে কোন ফেইক লোকেশন দেয়া হলো কিনা।।