আপনাদের বাপ ও দাদার জন্মে কোনদিন শুনেছেন চীনে একজন মুসলমান রাষ্ট্রপতি হয়েছে??

Uncategorized

আপনাদের বাপ ও দাদার জন্মে কোনদিন শুনেছেন চীনে একজন মুসলমান রাষ্ট্রপতি হয়েছে??
কিন্তু যেই দেশে মুসলমানদের মসজিদে নামাজ পড়তে দেয়না সেই দেশ ভারতে হয়েছে।
যেই দেশে গরুর মাংস খাওয়ার অপরাধে মুসলমানদের জিহ্বা কেটে ফেলা হয় সেই দেশের শুধুমাত্র  মুম্বাই শহরেই পঞ্চাশ লক্ষের অধিক মুসলমানের বসবাস।।

ভারতের পার্লামেন্টে ১৬ জন এমপি ও মন্ত্রী দেখে ও যারা চীনের পক্ষে স্লোগান তুলে তাদের বলবো, চীনে কোরআন পরিবর্তন করলে ও আমার কিছু যায় আসেনা,,
উইঘুর মুসলমান মেয়েদের ধর্ষণ করে জরায়ু কেটে দিলে ও আমি পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে চীনের পক্ষ নেবো এমন বলদ আমি নই।।
জানেন তো ,, বলদ দিয়ে হালচাষ হয়না।।

চীনের কুত্তা রাজনীতির সাথে পাকিস্তানের শুয়োর রাজনীতির যেমন মিল আছে ঠিক তেমনি চীনা কুত্তা ও পাকিস্তানী শুয়োরের মিলনে আমাদের দেশে যে ছাগু সম্প্রদায় তৈরি হয়েছে তার প্রতি কৃতজ্ঞতার স্বাক্ষর রেখে পাকিস্তানের জাতীয় পশুর নাম ও ছাগল।।

মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ , আজিজ মোবাশ্বের আহমদী, কবীর, মীর্জা হামিদুল্লাহ বেগ প্রমুখ মুসলিম হয়েও  যেই দেশের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন সেই দেশটির নাম ও ভারত।
তবু ও আমি ভারতের বিপক্ষে থাকবো কারণ পাকিস্তান আমাকে উপহার দিয়েছে জারজ সন্তান আর সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে চীন আমাকে উপহার দিবে ভ্যাকসিন।।

ভারতের গুণগান গাইলে বলে ভারতের দালাল।
কিন্তু প্রোফাইলে শাহরুখ খান, সালমান খান আর টাইমলাইনে সুশান্তের ছবি দিয়ে এই দেশে পাকি প্রেমীদের ভারতবিরোধী অবস্হান আমাকে বারবার ব্রিটিশ শাসনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
দুইশো বছরের ব্রিটিশের গোলামী করে ও কিছু পাকি জারজ এখনো বলে , ব্রিটিশের আমলেই আমরা ভালো ছিলাম!!!
দীর্ঘ ২৩ টি বছর পাকিস্তানের বুটের লাথি খেয়ে ও বলে পাকিস্তান জিন্দাবাদ।
বৃটিশরা এইদেশে করে গেছে নীলকরদের চাষ আর পাকিস্তানীরা জন্ম দিয়ে গেছে শুয়োর।।

বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে ও আমি চীন ও পাকিস্তান কে সমর্থন করবো এর অসংখ্য কারণের একটি হলো – ভারত সীমান্তে গুলি করে বাঙালি হত্যা করে ।।
সেই বাঙালি গরু চোর , মাদক চোরাকারবারি ও নারী পাচারকারী হলে ও আমি ইসলামের স্বার্থে ভারতের বিপক্ষে থাকবো এমন কাঠ মোল্লাদের উদ্দেশ্য কিছু কথা –
সারা বিশ্বে ২৫ লক্ষ মসজিদের সাড়ে তিন লক্ষ মসজিদ হলো দাদাদের দেশ ভারতে।
পৃথিবীর দ্বীতিয় সর্ববৃহৎ মুসলমানদের দেশ ও পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মসজিদের দেশ কে হিন্দুদের দেশ বানিয়ে যারা ৭১ এর পর থেকে এই দেশে ফায়দা লুটার চেষ্টা করেছিস সব শুয়োরের একটাই পরিচয় ওরা পাকিস্তানী বাস্টার্ড তথা শুয়োর খোর নিয়াজীর অবৈধ সন্তান।

রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ও অনেকেই ভারত কে দোষারোপ করার চেষ্টা করেন।
বলি ৭১ এ এই দেশটা স্বাধীন করে দিয়ে ভারত কি আপনাদের কাছে সারাজীবনের জন্য বিয়ে বসে গেছে ??
রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের সমস্যা এটা ভারতের সমস্যা নয়।
তাহলে চীন ও পাকিস্তান যদি রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ কে বৃদ্ধাংগুলি দেখায় তবে ভারত কেন বাংলাদেশের জন্য মায়ানমারের সাথে সংঘাতে যাবে???

৭১ সালে পাকিস্তানীদের পক্ষ হয়ে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র কে স্বাধীন করে দেওয়ার অপরাধে আজো ভারত কে শুনতে হয় যুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশ থেকে সব লুটে নিয়ে চলে গেছে!!!
খাঁটি বাংলায় বলতে হয় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে পাকিস্তানী শুয়োর রা কি এমন রেখে গেছিলো যা লুট করে ভারত পৃথিবীর অন্যতম একটি ধনী রাষ্ট্র হয়ে গেছে???

এখানেই শেষ নয়।
যে ১৪ লক্ষ রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের গলার কাঁটা মনে করছে ১৯৭১ সালে দুই কোটি বাঙালি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে ভারত ও যদি গলার কাঁটা মনে করতো তবে হয়তো আজ ভারতবাসী কে শুনতে হতো না শরণার্থীদের জন্য আসা কোটি কোটি বিদেশী ডলার ভারত লুট করে খেয়েছে।।।

ঢিল মারলে পাটকেল খেতে হয়।
সেদিন বেশী দুরে নয় যেইদিন আমাদের জাত ভাই রোহিঙ্গা মুসলমানরা আমাদের বাংলাদেশের দিকে আঙ্গুল তুলে বলবে – ১৪ লক্ষ রোহিঙ্গার জন্য আসা বিদেশি ডলার দিয়ে বাংলাদেশ ধনী হয়ে গেছে!!!
এর কিছুদিন পর আরো এক ডিগ্রি উপরে উঠে বলবে –
বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দিলে পাকিস্তান ও চীন দিতো।
১৪ লক্ষ রোহিঙ্গা কে থাকতে দিয়ে বাংলাদেশ কি বালের উপকার করেছে ???

১৯৬৯ সালের চীন ও ভিয়েতনামের যুদ্ধে ভারত ভিয়েতনামের পক্ষ হয়ে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলো ।
সেই যুদ্ধে চীন পরাজিত হয়ে ভিয়েতনাম জয়ী হয়েছে।
সেই ভিয়েতনাম করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ও জয়ী হয়েছে।
জাতি হিসেবে ভারত নামক রাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ আজো ভিয়েতনাম বাসী ভুলেনি বরং কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে।
কিন্তু তার জন্য কোন ভিয়েতনাম বাসী কে কখনো এটা বলতে শুনেছেন ভিয়েতনামের সরকার ভারতের কাছে ভিয়েতনাম কে বিক্রি করে দিয়েছে???

আমরা বাংলাদেশের মানুষ আমরা সব পারি।
নিজেদের প্রয়োজনে শুয়োরের মাংস ও কুকুরের মাংস কে ও হালাল করে খেয়ে ফেলতে পারি।।

প্রায় সবক্ষেত্রে ভারতের উপর নির্ভরশীল রাষ্ট্র নেপাল কে ভারত ইচ্ছে করলে বহু আগেই তাদের অঙ্গরাজ্য বানাতে পারতো ।এই নেপালী রা যুগে যুগে ভারতের পক্ষ হয়ে বিভিন্ন যুদ্ধ ও করেছে।
কিন্তু ভারত কখনোই তা করেনি ।
যদি ও ভারত তা করতো তবে হিমালয় ডিঙ্গিয়ে আসতে না পারা  চীন শুধুই তামাশা দেখতো।
এইসব সহজ হিসেব মাথা মোটা বাঙালি বুঝবেনা।

তারপর ও এই বাঙালি কোরবানির ঈদে ভারতীয় গরুর রান দাঁতের চিপায় ঠেলে দিয়ে ভারত বিরোধী বিধ্বংসী কবিতা লিখে বলবে আমি মুসলমান, তাই আমি ভারত বিরোধী।
ভারতীয় পেঁয়াজ মুখে দিয়ে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে মুখে ফেনা তুলবে এবং মুখের সেই ফেনা না মুছেই প্রতিদিন প্রায় এক লক্ষ বাঙ্গালী কারণে ও অকারণে তাদের বাপ ও দাদাদের পৈত্রিক দেশ ভারতের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে খেয়ে দেয়ে বাংলাদেশে এসে হাতটা মুছে বলবে —
আমার ভাই মরলো কেনো ,,
খুনী ভারত জবাব দে ??—

তার উত্তর আমি একটা স্বরচিত কবিতা দিয়ে শেষ করছি –
ওরে আমি ছাগলের দেশ পাকিস্তান থেকে তোদের জাত ভাই বলছি –
নেলসন ম্যান্ডেলা কে তুমি চেনো???
চে , মার্কস , মাও সেতুং , ফিদেল কাস্ত্রো এইসব নাম তুমি শুনেছ ??
মহাত্মা গান্ধী কে তুমি জানো???
ইন্দিরা গান্ধীর নাম শুনেছ ????
ছাগলের উত্তর – আমি মুসলমান , এইসব নাম শোনা ও যে হারাম!!!
তবে তোমাকে
আজ আমি নিয়াজী , কায়েদে আজম জিন্নাহ ও গোলাম আযমদের   গল্প বলবো —
নিজ দেশের সাথে গাদ্দারী করা বীর পাকিস্তানী সৈনিকদের গল্প বলবো —
তোমার রক্তে হিন্দুস্হান মুর্দাবাদ এই স্লোগান তুলে সরাসরি জান্নাতের টিকেট দেবো।।।

পাকিস্তানের সিন্ধু নদী হয়ে জান্নাতের রাস্তায় যেতে যেতে আমরা চীনের পক্ষ হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে স্লোগান দেবো।।।
হে তরুণ ,, তুমি কি জান্নাতে যেতে চাও??
তবে তোমার দেশের জাতির পিতা শেখ মুজিব কে অস্বীকার কর,
যদি জান্নাতে যেতে চাও,,
তবে পাকিস্তানের পতাকা হাতে তোমার নিজ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ কে অস্বীকার কর।।
জান্নাত তোমার পায়ের কাছে লুটিয়ে দেবো,,
যদি তুমি ভারত বিরোধী স্লোগান ধরো।

~ জুলিয়াস সিজার
আলো আসবেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *