আপনারা আনন্দ করবেন ভালো কথা কিন্তু অন্যকে বিরক্ত করে কেন?
যেখানে- সেখানে পর্দা ফাটানো শব্দ! রাত দুইটা-তিনটা বেজে যাচ্ছে, কিন্তু আশপাশের বাসা থেকে উঁচু ভলিউমে গান বেজেই চলছে! ফানুস উড়াচ্ছেন ভালো কথা; সে গুলো কেন আরেকজনের বাসায় এসে পড়বে? গতকাল শুনেছি অনেক জায়গায় এভাবে আগুন লেগে গিয়েছে।
অসভ্যতার একটা মাত্রা থাকা উচিত। আমি পশ্চিমা বিশ্বে থাকি। জীবনে তো কখনো এমন হয়নি যে ঘুমাতে চাইছি কিন্তু আশপাশের আওয়াজে ঘুমাতে পারছি না।
আর আপনারা যারা আইন- শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকেন; আপনাদের আসলে কাজটা কি? আপনারা কি সাধারণ চিন্তা টুকুও করতে পারেন না?
প্রতি থার্টিফার্স্টের সময় বলেন- এসব করা যাবে না। অথচ সবাই দিব্যি করে বেড়াচ্ছে। আপনারা কি এটা চাইলেও আর বন্ধ করতে পারবেন? আমার তো ধারণা আপনারা নিজেরাই চান না!
পশ্চিমা বিশ্বে সিটি কর্পোরেশন গুলো নিজেরাই তো ফায়ার ওয়ার্ক করে। একটা জায়গা নির্ধারণ করা থাকে। আমর সবাই গিয়ে রাত বারো’টার সময় সেখানে মিলিত হই। এরপর সরকারের তরফ থেকেই ফায়ার ওয়ার্ক করা হয়। এছাড়া কেউ যদি চায়, নিজেরাও নিজেদের মতো ওই জায়গায় ফায়ার ওয়ার্ক করতে পারে। আর আমাদের দেশে?
যে যার মতো করে যেখানে সেখানে যা ইচ্ছা তা-ই করছে। কোথাও রোগী ঘুমাতে পারছে না। কোথাও আগুন লেগে যাচ্ছে। কেউ মন চাইলে পুরো রাত উঁচু ভলিউমে গান শুনে মাতলামি করছে। অসভ্যতার একটা মাত্রা থাকা উচিত।
সভ্যতা এবং অসভ্যতার মাঝে একটা ফাইন লাইন আছে। আপনার আনন্দ করতে ইচ্ছা করছে; করুন। কোন সমস্যা নেই। যেভাবে ইচ্ছা হয় করুন। কিন্তু আপনার কোন অধিকার নেই অন্যকে বিরক্ত করার।
Aminul Islam