আফগানিস্থান এক সময় হিন্দু রাষ্ট্র ছিলো!?

Uncategorized

পড়তে সময় লাগবে মাত্র ২ মিনিট,
কিন্তু ভাববেন দীর্ঘক্ষণ।

যে সকল হিন্দুরা ভাবেন যে হিন্দুধর্ম
আদি অনন্ত কাল থেকে বিরাজমান
আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে এবং হিন্দু
ধর্মকে কেউ আঘাত বা ধ্বংস করতে
পারবেনা ।
আমি মনে করি তারা বোকার স্বর্গে
বাস করছেন।

ইতিহাস নাকি এই কথায় বলে যে,
আফগানিস্থান এক সময় হিন্দু রাষ্ট্র ছিলো!?
যদি তাই হয়,
তবে সেখানকার হিন্দুরা গেলো কোথায়?
হিন্দুরা সেখানে এখন কেনো নাই?

কাবুল শহরটা নাকি শ্রীরামের পুত্র
কুশ বানিয়েছিল।
সেখানে নাকি বর্তমানে একটা
মন্দিরও নাই।
মন্দিরগুলো তবে গেলো কোথায়?
কারা করলো ধ্বংস?
কার ইশারায়,কার প্ররোচনায়,
কোন অনুপ্রেরণায়?

গান্ধার।
যার বিবরণ মহাভারতে পাওয়া যায়।
যেখানকার রাণী ছিলেন গান্ধারী।
আজ সেই স্থানের নাম কান্দাহার।
বর্তমানে সেখানে কি কোন হিন্দু আছে?
মনে হয় নাই!!কেনো নাই?
হিন্দুরা সেখান থেকে গেলো কোথায়?

কম্বোডিয়া।
যেখানকার রাজা ছিলেন সূর্য্যদেব বর্মন।
যিনি পৃথিবীর সব থেকে
বড় মন্দির ‘আঙ্কোরভাট’ নির্মান করেছিলেন।
আজ সেখানেও নাকি কোন হিন্দু নাই!
হিন্দুরা এখন সেখানে কেনো নাই?
কিসের কারনে নাই?সেখানকার হিন্দুরা সব গেলো কোথায়?

বালিদ্বীপ।
২০ বছর পূর্বেও নাকি সেখানে ৯০% হিন্দুর দেখা পাওয়া যেত।
আজ নাকি সেখানে মাত্র ২০% হিন্দু 
অবশিষ্ট রয়েছে।
কোথায় গেলো সে সব হিন্দুরা?

কাশ্মীর।
২০ বছর পূর্বেও সেখানে নাকি ৫০% হিন্দু ছিল।আজ মাত্র ৩% থেকে ৪% আছে!
হিন্দুর সংখ্যা কাশ্মির থেকে কমে
গেলো কেনো?

কেরালে নাকি মাত্র দশ বছর পূর্বেও ৬০% হিন্দু ছিল।এখন নাকি মাত্র ২০% হিন্দু আছে।
হিন্দুর সংখ্যা সেখান থেকেও কমে
গেলো কেনো?

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে
ভারত ভাগ হয়ে,
পূর্ব পাকিস্থান ও পশ্চিম পাকিস্থানের
জন্ম হলো।
১৯৭১ সালে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে হিন্দু মুসলিমের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ভারত রাশিয়ার সহযোগীতায় পূর্ব পাকিস্থান হলো বাংলাদেশ।
পূর্ব পাকিস্থান থাকতে যেখানে হিন্দুর সংখ্যা ছিলো ৪৮% আর মুসলিম ছিলো ৫২%।
বর্তমানে সেখানে হিন্দুর সংখ্যা মাত্র
৮% অথবা ১০% মাত্র।
কোথায় গেলো,
কেনো গেলো বাংলাদেশের বাকি সব
হিন্দুরা?

ইতিহাস বলে,
১৫৬৯ সাল পর্যন্ত ইরানের পূর্বনাম ছিল পারস্য ।
যেখানে একটিও মুসলিম বসতি ছিলনা। শুধুমাত্র পারসিকরাই সেখানে বসবাস করত।
যখন পারস্যের উপর আক্রমন কারিরা আক্রমন চালাতো তখন পারস্যের বয়স্ক ব্যক্তিরা তাদের তরুণ যুবকদের বলতেন।
আমাদের কেউ হারাতে পারবে না।
কেউ ধ্বংস করতে পারবেনা।

কিন্তু ধীরে ধীরে সেই পারস্য
ইরানে পরিণত হল।
পারসিকদের ধনসম্পদ লুঠ করা হল। তাদের নারীরা গণিমতের মাল হলো। পুরুষদের নৃশংসভাবে খুন করা হল।
অবশিষ্টদের ধর্মান্তরিত করা হল।

অল্পসংখ্যক বেঁচে যাওয়া কিছু পারস্যের অধিবাসীরা নৌকাযাত্রা করে ভারতে পালিয়ে এসেছিল।
তাদেরই হাতেগোনা কিছু জন আজও গুজরাটে দেখতে পাওয়া যায়।

ওঁ শান্তি, ওঁ শান্তি, ওঁ শান্তি
জগতের  সকল প্রানী সুখী হোক।
Sankar karmakar
Narail.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *