“আমরা শুধু ভাস্কর্য বা মূর্তির ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিতে মতামত প্রকাশ করেছি। কিন্তু মূর্তি ভাঙা বা উসকানির মতামত দিইনি” -মুফতি সৈয়দ মোহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই।

Uncategorized

“আমরা শুধু ভাস্কর্য বা মূর্তির ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিতে মতামত প্রকাশ করেছি। কিন্তু মূর্তি ভাঙা বা উসকানির মতামত দিইনি”  -মুফতি সৈয়দ মোহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই।

এটার নামই “তাকিয়া”। দ্বিনের স্বার্থে মিথ্যা শঠতা জোচ্চুরি করা ইসলামে জায়েজ। মূর্তি ভাস্কর্যকে হারাম শিরক বললে সেটা ভাঙ্গতে মুসলমানরা যাবেই কারণ ইসলামে বলা আছে যদি সমর্থ থাকে তাহলে শিরকে বাঁধা দিতে হবে। সরকার হিন্দুদের মূর্তি ভাঙ্গায় বাঁধা দেয়নি তাই বলে বঙ্গবন্ধুর মূর্তিতে হাত দিলে কম বেশি ব্যবস্থা নিবেই এটা হুজুররাও জানত। কাজেই একদিকে মূর্তি ভাঙ্গতে ছাত্রদের উশকে দিয়ে এখন বলা হচ্ছে মূর্তি বিষয়ে কুরআন হাদিসের ব্যাখ্যা দিয়েছি আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বলিনি। একদিকে মূর্তি ভেঙ্গে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিতে বলবে অন্যদিকে তাকিয়া করে নিজেকে বাঁচতে হবে। পুলিশ দিয়ে এখন হয়ত সীমিত সময়ের জন্য ভাস্কর্য মূর্তি রক্ষা করা যাবে কিন্তু সেইদিন সমাগত যখন খচ্চরদের আর “তাকিয়া”কে আশ্রয় নিতে হবে না। প্রকাশ্যে ভেঙ্গে দিয়ে দায় স্বীকার করে নিবে। তখন আর যাই হোক না কেন, হিন্দুরা মনে মনে একটু হলেও স্বান্তনা পাবে এই ভেবে যে, তাদের পুজার মূর্তিই শুধু পাহারা দিতে হয় না, ‘দুর্বৃত্তদের’ ভয়ে বঙ্গবন্ধু অপরাজেয় বাংলা রাজু ভাস্কর্য সহ সারাদেশের ভাস্কর্য মূর্তিগুলোও পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা দিতে হয়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *