আমি বিশ্বজিৎ দাশ। পিতাঃ- মৃতঃ- বিজয় কুমার দাশ (মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়ে নিখোঁজ)। মাঃ-স্বর্গীয় রানু দাশ(বাংলাদেশ টেলিভিশন ও রেডিও সহ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ছিলেন)। আমি যশোর জেলার বেজপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। বর্তমানে ঢাকার রামপুরাতে বসবাস করছি। জন্মসূত্রে যশোরেই বেড়া ওঠা বিধায় যশোরের উল্লেখযোগ্য জায়গাগুলোই অনেক স্মৃতিবিজড়িত।
যশোরের বেনাপোল বন্দরে আমার পূর্ব পরিচিত শেখ আসাদুজ্জামান(মিন্টু) স্বত্বাধিকারীঃ- জামান এন্টারপ্রাইজ, পিতার নামঃ- শেখ মহিউদ্দিন, গ্রামঃ- কদমতলা, পোস্টঃ- বালুন্ডা, থানাঃ- বেনাপোল পোর্ট, শার্শাঃ- ৭৪৩১, জেলাঃ- যশোর। শেখ আসাদুজ্জামান (মিন্টু) সাথে প্রায় ৫ বছরের পরিচয়। মিন্টুর পিতা শেখ মহিউদ্দিনকে আমার পিতার মতো শ্রদ্ধা করতাম। তাই তার বিশেষ অনুরোধে আমি বেনাপোল বন্দরে গিয়েছিলাম এবং তার অনুপ্রেরণায়, আশা জাগানিয়া বক্তব্যে ভবিষ্যতের লক্ষ নির্ধারণ করেছিলাম। উনাদের সাথে ইমপোর্ট বিজনেস করতে উদ্বুদ্ধ করানোর ফলে, আমি অনুপ্রাণিত হয়ে বিজনেস ইনভেস্ট করেছিলাম ৪৬(ছেল্লিশ) লক্ষ্য টাকা। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের ফলে আজ হয়ত আমার কপাল পুড়ছে। ব্যবসায়ের নামে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আজ তারা লাপাত্তা। আমি টাকা ফেরত চাইলে তারা আমার জীবননাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমার টাকার সুরাহা করবে বলে তারা আমাকে ওদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খাবারের সাথে slow poigon মিশিয়ে আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি এ যাত্রায় জীবন নিয়ে বেঁচে আসতে পেরেছি।
ওরা আমার টাকা-পয়সা নিয়ে আমাকে ঠকিয়ে, আমাকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। এর সাথে জড়িত আছে মিন্টুর বউ এবং মিন্টুর বাবাসহ তার ভাইয়েরা, যার প্রমাণাদি আমার কাছে আছে এবং আমি যাতে যশোর থেকে বেনাপোলে না ঢুকতে পারি তার জন্য মিন্টু তার ক্যাডার বাহিনী দ্বারা আমাকে সব সময় ভয়-ভীতি ও মৃত্যুর হুমকি দেখাচ্ছে। তাই আমি বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে যেতে পারছিনা। আমি বেনাপোল থাকা অবস্থায় যখন ওদের এহেন উদ্দেশ্য উপলব্ধি করতে পারি, তখন আর দেরি না করে প্রমাণ স্বরূপ আমি বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি অভিযোগ করেছিলাম।
ইতিমধ্যে মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজ(সিএন্ডএফ এজেন্সি) এর অবৈধ কার্যক্রমের কারণে চিটাগাং বন্দরের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে।
যশোর জেলাসহ শার্শা উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বাংলাদেশের উচ্চতর প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে আমার একটি অনুরোধ মিন্টুর পরিবারবর্গ ষড়যন্ত্র করে আমাকে এই সর্বশান্ত করার জন্য আমি বিচার দাবি করছি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে এইটুকু জেনেছি যে, এই পরিবারটি একটি চিট্-বাটপার পরিবার। জেনেছি, শুধুমাত্র আমি যে, তা না আরো বহুসংখ্যক ব্যক্তির সাথে ওরা বাটপারি করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে এবং এক ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে অন্য ব্যাংকে মিথ্যা কাগজপত্র দিয়ে জালিয়াতি করেছে। বিষয়টি আপনারা তদন্ত করলে সব জানতে পারবেন। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক, কাস্টমস, দুদক, সিআইডি অফিস ও সরকারি অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট শেখ আসাদুজ্জামান (মিন্টু) স্বত্বাধিকারী জামান ইন্টারপ্রাইজে(সিএন্ডএফ এজেন্ট) এবং মহিশাহী ইন্টারপ্রাইজ (এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ) নামের প্রতিষ্ঠানের তদন্ত চলমান।
স্বাধীনতার স্থপতি, মহান নেতা, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া সফল নেত্রী, দেশরত্ন, রত্নগর্ভা মা, বারবার নির্বাচিত জনপ্রিয় নেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় এম পি মহোদয়,
যশোর জেলার এমপি মহোদয়গণ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পৌর মেয়র, বেনাপোল ও শার্শা উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের কাছে আকুল আবেদন 🙏 আমার কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়াসহ এই জালিয়াতি পরিবারের সঠিক তদন্ত করে, এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। যাতে করে বাংলাদেশের এক নম্বর স্থল বন্দর বেনাপোলের সুনাম অক্ষুন্ন থাকে। 🙏
(শেখ আসাদুজ্জামান মিন্টুর মত মানুষ মেট্রিক পাস না করে একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট ও এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির মালিক হয় কি করে যা আমার বোধগম্য নয়)
যথাযত কর্তৃপক্ষের কাছে একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি 🙏🙏🙏