অনেক অনেকদিন আগের কথা। তখন ছাত্ররা গুরুগৃহে থেকে লেখাপড়া করত। সেই সময় ধৌম্য নামে একজন আচার্য বা শিক্ষক ছিলেন। তাঁর ছিল তিনজন ছাত্র বা শিষ্য। তাঁদের নাম আরুণি, উপমন্য এবং বেদ। আরুণির বাড়ি ছিল পঞ্চাল দেশে। একদিন গুরু আরুণিকে ডেকে বললেন, “জমি থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। তুমি ওখানে গিয়ে জমির আল বেঁধে এস।” গুরুর আদেশে আরুণি চলে গেল জমির আল বাঁধতে। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও সে জল রোধ করতে পারছিল না। আরুণি অন্য কোন উপায় খুঁজে পেল না। তখন সে নিজেই সেই জমির আলে শুয়ে পড়ল। তারপর বন্ধ হল জল বের হওয়া। এদিকে সূর্য ডুবে গেছে। চারদিক অন্ধকার হয়ে আসছে। কিন্তু আরুণি ফিরে এল না। গরু ধৌম্য চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তিনি আরুণির খোঁজে বের হলেন। সঙ্গে অন্য দুই শিষ্য। উপমন্যু ও বেদ। গুরু ধৌম্য সেই জমির কাছে গেলেন।

তিনি উচ্চঃস্বরে আরুণিকে ডাকতে লাগলেন। “ওহে আরুণি, তুমি কোথায়? এখানে চলে এস।” গুরুর ডাকে আরুণি জমির আল ত্যাগ করল। গুরুর কাছে এসে আরুণি তাঁকে প্রণাম করল । তারপর সব কথা খুলে বলল। তার কথা শুনে গুরু খুব খুশি হলেন।
গুরুক্তিতে খুশি হয়ে ধৌম্য আরুণিকে আশীর্বাদ করলেন। তিনি আরুণিকে বললেন, “তোমার সমস্ত বিদ্যা অর্জিত হবে।” তিনি আরও বললেন- “তুমি জমির আল থেকে উঠে এসেছ। এজন্য তোমার নতুন নাম হৰে ‘উদ্দালক’। তুমি এবার দেশে ভবে যাও।” আশীর্বাদ পেয়ে আরুণি তার নিজ দেশে ফিরে গেল।