ইনসিওরেন্স বা বীমার সমালোচনা করবার আগে একবার চিন্তা করুন

Uncategorized
📌📌ইনসিওরেন্স বা বীমার সমালোচনা করবার আগে একবার পড়ুন…
আমাদের দেশের প্রায় সব শ্রেণীর মানুষই প্রথমে আবেগ দেখায়, তারপর প্রতারিত হয়, অতঃপর পস্তায়! সবশেষে কোনো কিছুই না জেনে না বুঝে প্রতিষ্ঠানের দোষ দেয়, যা কাম্য নয়।
যেখানে টাকা আপনার, সঞ্চয় আপনার, লাভ আপনার, সেখানে আমরা (আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা) কেবল পরামর্শ দিতে পারি, কিন্তু সকল মৌলিকত্ত্ব আপনার ওপরই নির্ভর করে।
(যদি বলা হয় আপনি আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিন ৬ মাস/১ বছর পর দ্বিগুণ দেব (?)
তখন কোনদিকে না তাকিয়ে দ্বিগুনের লোভে কিছু না ভেবেই টাকা দিয়ে দেন, বরং কানে কানে বলে দেন ভাই কাউকে বলিয়েন না! এতোটুকু ভাবেন না এমন কী ব্যবসা আছে, যা থেকে আমাকে ৬ মাস/১বছরে দ্বিগুন দিবে? এটাও ভাবে না যে রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক নীতিমালায় ওই প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ব ও গঠনতন্ত্র কী? আর যখন ওইজাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উধাও হয়, তখন নিজের অজ্ঞতাকে স্বীকার না করে সব প্রতিষ্ঠানকেই এক পাল্লায় মাপতে শুরু করেন। )
এই ধরনের লোকগুলোই যখন বীমার মতো মৌলিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করেন, তখন কিছু না বলে আর চুপ থাকা যায় না।
ব্যাংকে যেমন আপনি ডিপিএস করে সেভিংস একাউন্টের সুবিধা পাবেন না। তেমনি বীমার ক্ষেত্রেও একটি পরিকল্প গ্রহণ করে অন্য পরিকল্পের সুযোগ সুবিধা পাবেন না। আম গাছ লাগিয়ে যেমন আমড়া ফলের আশা করা যায় না, তেমনি বীমা করে ব্যাংকের সুবিধা কিংবা ব্যাংকে করে বীমার সুবিধা চাওয়া সুলভ নয়।
আপনারা অবশ্যই জেনে থাকবেন যে, মানুষের কল্যাণে প্রত্যেকটি বীমা কোম্পানীতে জীবন ঘনিষ্ঠ প্রায় ২০/২৫ টি পরিকল্প থাকে। গ্রাহক তার চাহিদামতো যার যার প্রয়োজনীয়তার আলোকে বীমা পরিকল্প গ্রহণ করতে পারেন।
# কিছু পরিকল্প- মুনাফা বিহীন, শুধুমাত্র ঝুঁকির জন্য।
# কিছু পরিকল্প- সঞ্চয়, মুনাফা, ঝুঁকি, বিনিয়োগ সবই হবে।
# কিছু পরিকল্প- স্বল্পকালীন।
# কিছু পরিকল্প- এককালীন।
# কিছু পরিকল্প- শুধুমাত্র আপদকালীন সুবিধার জন্য।
# কিছু পরিকল্প- শুধুমাত্র মৃত্যুকালীন সুবিধার জন্য।
# কিছু পরিকল্প- শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুবিধার জন্য।
এখন আপনার কী প্রয়োজনে কোন পরিকল্প গ্রহণ করবেন তা শুধুমাত্র আপনার এখতিয়ার। বীমা কর্মকর্তাগণ হয়তো পরামর্শ দিয়ে আপনার সিদ্বান্তে সহায়তা করতে পারে। তবে প্রত্যেক বীমা কর্মকর্তার উচিৎ গ্রাহকের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা অনুধাবন করে সম্ভাব্য গ্রাহককে সম্ভাব্য পরিকল্পসমূহ যথাযথভাবে বুঝিয়ে বীমা করানো।
বীমা একটি মহৎ, সামাজিক ও মানবিক পেশা। অন্যদিকে বীমা একজন গ্রাহকের জন্য সঞ্চয়, ঝুঁকি, লাভ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করে। অতএব, কারো অসচেতনতার কারণে প্রায় দুই কোটি গ্রাহক এবং প্রায় অর্ধকোটি কর্মকর্তা ও কর্মী’র এ বিশাল শিল্প সমালোচিত হোক, ক্ষতিগ্রস্থ হোক তা কাম্য নয়। আমাদের সকলেরই শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *