ইসলামে ইলম শিক্ষায় শিশু নির্যাতনের দরকার আছে।
…………………………………………………………
ইসলামের ভিতরেই কুরান হাদিস শিক্ষার জন্য এ শিশু নির্যাতনের তাৎপর্য লুকায়িত।
.
আমাদেরকে আল্লাহ সৃস্টি করেছে সম্পূর্ণ বিনা কারণে। আমাদের সৃষ্টি করার জন্য সে কারোকাছে মুখাপেক্ষী ছিলো না। আমাদের সৃষ্টি করাটা তার প্রয়োজন ছিলো না। সে সকল প্রয়োজনের উর্ধে।
.
আমাদের সৃষ্টির আগে “আমাদের প্রয়োজন” বলে কোনো কথা ছিলো না। ফলে আমাদের প্রয়োজনে আমাদের সৃষ্টি কথাটা অর্থহীন।
.
বিনাদরকারে অর্থহীন উদ্দেশ্যে আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করে পরীক্ষার নামে কষ্টকর জীবন দিয়ে সে প্রথম অপরাধ করেছে। এটা স্রষ্টার সৃষ্টিজনিত পাপ।
.
এরপর সে জানতো আমরা কী করব, কী না করব। জেনেশুনেই সে সৃষ্টি করেছে। শুধু তার প্রশংসা ও তাকে অস্বীকার করার কারণে সে মানুষকে অনন্তকাল জাহান্নামে পুঁড়িয়ে অসীম সময় ধরে তা উপভোগ করে। বোঝাই যায় স্রষ্টা একজন স্যাডিস্ট। একজন খাঁটি মুমিন না হতে পারলে পরকালে রয়েছে ভয়ঙ্কর আজাব, নির্যাতন, আল্লাহ কর্তৃক জুলুম। সে জুলুমের কোনো শেষ নেই। বিপরিতে খাঁটি মুমিন হতে পারলে আছে অপরীসীম পুরষ্কার।
.
এহেন ভয়ঙ্কর জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচানোর জন্য এর চেয়েও ভয়ঙ্কর নির্যাতন করেও যদি কুরান হাদিসের শিক্ষা দিয়ে তাকে বিশ্বাসী-ইমানদার বানানো যায়, তবেতো শিশুটিরই লাভ। তাহলে কেনো শিশুটিকে ভয়ঙ্করভাবে মারা হবে না? তাকে বরং প্রয়োজনে মৃত্যু অবধি পিটাতে হবে যদি সে সোজা না হয়। একজন বিশ্বাসী মানুষ এভাবেই ভাববে। এ ভাবনা থেকেই একজন হুজুর বা একজন শিক্ষক একটি শিশুকে মারে। এমন ভাবনা থেকেই আমরা আমাদের শিশু সন্তানকে মারি। এ ভাবনা থেকেই আপনে এ ধরণের নির্যাতনের ভিডিও শেয়ার করতে বারণ করেন।
.
এভাবেই ধর্ম বিশ্বাস আমাদের আল্লার নিজস্ব স্বার্থে মানোবিক মানুষ থেকে বর্বর মানুষ বানিয়ে দেয়। আর আমরা দোজখের ভয়ঙ্কর শাস্তি থেকে বাঁচাতে, বিপরীতে অপরিসীম পুরষ্কার পেতে এর চেয়েও ভয়ঙ্কর নির্যাতনকে উচিত বলে মনে করি।
.
মানুষকে মানোবিক বানাতে হলে ধর্মটাকে উপড়ে ফেলতে হবে সমাজ থেকে। এমন সেডিস্ট স্রষ্টা কখনোই থাকতে পারে না। যে স্রষ্টা (যদি থাকে) ইউনিভার্স সৃষ্টির মত মহান কাজ করতে পারে সে মানুষকে জাহান্নামে পোঁড়াতে পারে না। সে মানুষ নামক নগন্য প্রাণীর কারছে প্রশংসা ও স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য লালায়ীত হতে পারে না।