বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৫৩ জন এমপি একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন। বিবিসি এই ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ বলেছে মানে এরকম ঘটনা আগে কখনই ঘটেনি। দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা তাহলে ই-সিগারেট? মাদ্রাসাগুলোতে শিশুদের ধর্ষণের নিউজ প্রতিদিনই বের হচ্ছে। সংসদের ৩০০ আসনের একজন এমপি নেই যিনি এই বিষেয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখতে পারে? জর্দা তামাক ই-সিগারেটের ব্যবসা যারা করেন তারা সরকারকে চড়ামূল্যে ট্যাক্স দেয়। মুজিববর্ষে পুরান ঢাকার হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী কাউস মিয়া এবারো সর্বচ্চো করদাতা হয়েছেন। মাদ্রাসা করে হুজুরও মুনাফা লুটেন। মাদ্রাসা করে অর্থ কামান। কিন্তু তারা ট্যাক্স দেন না। উল্টো বাচ্চাদের যৌন নিপীড়ন করেন। লোক জানাজানি হবার সম্ভবনা থাকলে শিশুদের হত্যা পর্যন্ত করা হয়। বেশির ভাগ ঘটনাই মিডিয়াতে আসে না। তবু রোজ একটি করে ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার অর্থ মাদ্রাসায় জাস্ট হেরেম প্রতিষ্ঠা হয়েছে!
বাংলাদেশের মানুষ স্রেফ পঁচে গেছে! হুজুর আলেমদের বলাত্কারের ঘটনা দেখেও তারা ফুঁসে উঠে না। কিন্তু কোথাও নাস্তিক রব উঠলে তারা ফাঁসি দাবীতে হুংকার তোলে। সমাজে হুজুরদের প্রতি অন্ধ শ্রদ্ধা ভক্তি একটি জিনিসই প্রমাণ করে, মানুষ নৈতিকভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। যে সমাজে ধর্মালয়গুলো জাঁকজমকভাবে সেজে থাকে, ধর্মবেত্তারা বিপুলভাবে সমাদৃত হতে থাকে, সে সমাজের সকল মানুষ চরমমাত্রায় অসত! বুঝতে হবে অতি পাপেবোধে সাধারণ মানুষ সাইকোলজিক্যাল গেইম খেলছে। ব্লুফিল্ম দেখে মানুষের যেরকম পাপ বোধ হয়, সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে তওবা করে, ফকিরকে দশ টাকার নোট দিয়ে ব্লুফিল্ম দেখার অপরাধবোধে ভালো কাজ করে তার খন্ডন করার মানসিক সান্ত্বনা পেতে চায়- ঠিক প্রতিদিন দোকানপাটে যারা ওজনে কম দিচ্ছে, খাবারে ভেজাল করছে, ঘুষ ছাড়া কাজ করছে না, মজুদ করে মুনাফা লুটছে- তাদের অন্যায়ের কাটাকাটি হচ্ছে হুজুর তোষণ! জেলের ভেতর দাগী আসামী, ধর্ষক খুনিরা যদি শোনে একজন নাস্তিক এসেছে তারা তাদের পাপকে কাটাকাটি করে সরাসরি বেহেস্তে যাবার উদ্দেশ্যে নাস্তিককে খুন করতে মরিয়া হয়ে উঠে। সাধারণ মানুষ দুই কারণে ধর্মের প্রতি দুর্বল হয়, মৃত্যুর পর কঠিন শাস্তির ভয় ও নিজের পাপের ভারা পূর্ণ হলে তার একটা ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য। যে মানুষ দুর্নীতি করে না, মানুষকে ঠকায় না, মিথ্যা বলে না, জুলুম করে না, লুট করে না তার কখনো মসজিদ গিয়ে পরকালের শাস্তির কথা চিন্তা করে চোখে জল আসবে না। হুজুরদের বলাত্কার দেখেও এই দেশের মানুষজন হুজুরদের প্রতি নিরাসক্ত মানসিকতা তাদের নৈতিক অধঃপতনের একটি সামাজিক বাস্তবতা। যে দেশ ও সমাজ শিশুদের নিপীড়ন দেখেও শান্ত থাকে সেই দেশ, সমাজ ধ্বংস কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
#সুষুপ্ত_পাঠক