উদারতার একটা সীমা থাকা উচিত। –তসলিমা নাসরিন

Uncategorized

উদারতার সীমা থাকা উচিত। জিহাদি মেয়েদের সিরিয়ার  আইসিস ক্যাম্প থেকে জার্মানি আর ফিনল্যান্ড নিয়ে আসা হয়েছে। অসভ্যদের সভ্য জায়গায় স্থানান্তরিত। ভালো কাজ হতো যদি এদের মগজ থেকে জিহাদি ভাবনা দূর হতো। কিন্তু তা তো হয়নি।   এই মেয়েরাও জিহাদি জঙ্গি। মনে আছে শামীমার কথা, ১৫ বছর বয়সে লণ্ডন থেকে চলে এসেছিল সিরিয়ায় আইসিসের খাতায় নাম লেখাতে, জিহাদি পুরুষদের যৌন সঙ্গী হতে, যেন যৌন জীবনে তৃপ্ত হয়ে পুরুষগুলো ঠাণ্ডা মাথায় জিহাদ করতে পারে, ধ্বংস করতে পারে প্রাচীন স্থাপত্য, বিধর্মীদের  মুণ্ডু কেটে নিতে পারে । শামীমা বলেছিল সে এইসব বিধর্মী হত্যায় বিশ্বাস করে, এবং  রাস্তার ডাস্টবিনে বিধর্মীদের  কাটা মুণ্ডু দেখতে তার এতটুকু খারাপ লাগে না, বরং   ভালো লাগে, কারণ আল্লাহ  বলেছেন  বিধর্মীদের হত্যা করতে।  সেই শামীমা আইসিসের পতনের পর লণ্ডনে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে, তাকে ফেরানোর জন্য কত যে মানবাধিকার কর্মী লড়ছেন । আমি বুঝি না জিহাদি পুরুষ এবং নারীতে পার্থক্য কোথায়? কোনও জিহাদি নারীকে অস্ত্র হাতে খুন করতে দেখা যায়নি বলে? কিন্তু ওরা তো খুন করতে জানে, ওরা মগজ ধোলাই করতেও জানে। তাহলে ওদের ক্ষতিকর মনে করা হচ্ছে না কেন? এত জিহাদি সন্ত্রাসের  শিকার হয়েও ইউরোপের শিক্ষা হয়নি। বেলজিয়ামই একমাত্র দেশ– জিহাদি মেয়েদের ঘরে ফেরাতে রাজি হয়নি। জার্মানি বোধহয় মানবাধিকারের ক্ষেত্রে  বিশ্বের এক নম্বর হওয়ার পণ করেছে। ১০  লক্ষ সিরিয়ার শরণার্থীকে তো আশ্রয় দিয়েছে জার্মানি। ভেবেছিল এরা বুঝি আইসিসের ভয়ে পালিয়েছে। একেবারেই না, আইসিসের অত্যাচারের বদলে তারা সিরিয়ার সরকারের অত্যাচারের কথা বলেছে। আইসিসকে বরং অধিকাংশই  সমর্থন করেছে। ইউরোপে জিহাদি হামলা শেষ হবে না মোটেও, চলতেই থাকবে। ইউরোপকে আর নিরাপদ জায়গা বলে মনে করার কারণও নেই কোনও।

বিধর্মী হত্যার  জিহাদে অংশ নিয়েও আবার বিধর্মীদের দেশে ফেরত আসা যায়। এটি মানুষকে আরও বেশী উৎসাহিত করবে জিহাদি হতে। কিছুই তো হারাবার নেই। শাস্তিও নেই কোনও। সবচেয়ে ভালো হতো এই জিহাদিগুলো যদি ক্যাম্পেই থেকে যেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *