ঋষি শব্দের অর্থ মন্ত্রদ্রষ্টা শাস্ত্রজ্ঞ তপস্বী।

Uncategorized
ঋষি শব্দের অর্থ মন্ত্রদ্রষ্টা শাস্ত্রজ্ঞ তপস্বী।
আক্ষরিক অর্থে ঋষি তিনি নন কিন্তু ভারতবর্ষের শৃঙ্খলামোচনের হেতু যে স্বাধীনতা সংগ্রাম তাও এক অতীব দীর্ঘস্থায়ী, সুদৃঢ় ও বহুদূরপ্রসারিত এক তপস্যা যার মন্ত্রদ্রষ্টা তিনি – ছিলেন নয়, আছেন ও থাকবেন অনাগত প্রজন্মের জন্যেও।
‘বন্দেমাতরম’ শব্দটি তিনি ঈক্ষণ/দর্শন করেছিলেন স্বীয় অনুভূতির অন্তঃস্থলে যা কালক্রমে ভারতবর্ষের নবোত্থানের আকাঙ্খার বিস্ফোরণের স্ফুলিঙ্গরূপে পরিচিত হলো ইতিহাসে। বঙ্গের বৈপ্লবিক সংগ্রামের মূলরূপে আবির্ভূত হল শ্রীমদ্ভাগবদগীতা ও বন্দেমাতরম। ‘আনন্দমঠ’ , ‘রাজসিংহ’ , ‘চন্দ্রশেখর’ , ‘দেবী চৌধুরাণী’, ‘সীতারাম’ স্থান পেলো বাঙ্গালীর গৃহে: ক্রমশ ভাষার ব্যবধান অতিক্রম করে ও সুনিপুণ, সযত্ন অনুবাদের সূত্রে অন্য প্রদেশে। 
অনুশীলন তত্ত্বেরও উৎস তিনি – জ্ঞানানুশীলন, শাস্ত্রানুশীলন ও শস্ত্রানুশীলনেরও উদ্গাতা তিনি, যা স্বামী বিবেকানন্দের স্বদেশচেতনার উদাত্ত আহ্বানের সাথে একত্রিকরণে সৃষ্টি করলো আধুনিক যুগে বাঙ্গালীর সর্বোচ্চ সাধনা – অনুশীলন সমিতি।
দুর্বলচিত্ত ও পরাভূত বাঙ্গালীর প্রতিস্পর্ধার প্রতিমূর্তি তিনি – জগদ্বিখ্যাত  “আনন্দমঠ” উপন্যাসের প্রায় অন্তিম লগ্নে তিনি লিখছেন, “হায়! আবার আসিবে কি মা! জীবানন্দের ন্যায় পুত্র, শান্তির ন্যায় কন্যা, আবার গর্ভে ধরিবে কি?” এযুগের বাঙ্গালীর প্রতি গৃহে পুনরায় জীবানন্দ ও শান্তি জন্মগ্রহণ করুক ও তাঁদের মার্গদর্শনের নিমিত্ত স্বামী সত্যানন্দের আবির্ভাব হোক প্রত্যেক ক্রান্তিকালে।
আভূমি প্রণত রই ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতি আজ তাঁর জন্মতিথিতে। প্রণাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *