বাংলাদেশে আওয়ামীবিরোধী একটা পাবলিক সেন্টিমেন্ট আছে। আওয়ামীবিরোধী যেকোন কিছুই বৈধ এমনকি সেটা দেশের বিপক্ষে গেলেও। সাম্প্রতিক সময়ে আল জাজিরা বাংলাদেশের সেনাপ্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
বাংলাদেশে এর থেকেও আরো অনেক ভয়াবহ বিষয় আছে প্রতিবেদন করার জন্য। কিন্তু কেন একটা দেশের সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপ্রধানকে নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হলো এবং এর নেপথ্যে কারা সেটা কমবেশি সবার জানা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটা হলো, এই প্রতিবেদনটা আমার দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সেনাবাহিনীর জন্য খুব হুমকিস্বরূপ এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ অনেকটাই নষ্ট করেছে।
আর এই কাজটি করেছে একটা বিদেশি টিভি চ্যানেল কিছু দেশীয় কুচক্রী মহলের সহায়তায়। একটা বিদেশি টিভি চ্যানেল বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে এবং মাফিয়া তকমা দিবে আর আমরা সেটা মেনে নেব এটা হতে পারে না।
কিন্তু খুব দুঃখের বিষয় আওয়ামীবিরোধী ফোবিয়া থেকে দেশের একাংশ মানুষ সেটাকে সমর্থন করছে এবং গলাবাজি করছে। এই নির্বোধের দল এটা বুঝতে পারছে না যে, তারা যে কাজটা করছে সেটা তার নিজ দেশের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। নূন্যতম দেশপ্রেম থাকলে বিদেশি একটা টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনকে সমর্থন করা যায় না। এতে দেশের ইমেজ মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়।
সবার আগে আমার দেশ আমার দেশের মানুষ। আমরা নিজেরা কামড়াকামড়ি করে মরবো কিন্তু তাই বলে বাইরে দেশের প্রপাগাণ্ডা মেনে নেওয়া আর নিজের গলায় ছুরি বসানো একই কথা। যারা এই প্রতিবেদনের পক্ষে সাফাই গাচ্ছে তাদের বোধোদয় হওয়া উচিত। অবশ্য যারা সাফাই গাচ্ছে তাদেরও একটা অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য আছে এটা সবাই জানে।
আল জাজিরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ একটা টিভি চ্যানেল। কাতারের আল জাজিরা সে দেশের রাজতন্ত্র নিয়ে কিন্তু কোন কথা বলে না যেখানে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ গণতান্ত্রিক।
সবশেষে বলতে চাই, প্রতিবেদনটা সত্য কি মিথ্যা সেটা আমার কাছে মূখ্য বিষয় না, মূখ্য বিষয়টা হচ্ছে আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে বিদেশি একটা টিভি চ্যানেল। আমার দেশের প্রাইভেসিকে নষ্ট করছে বিদেশি একটা টিভি চ্যানেল কিছু দেশীয় মীরজাফরের সহায়তায়।
আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই সেইসাথে বাংলাদেশে আল জাজিরাকে নিষিদ্ধ দেখতে চাই।
গৌর সুন্দর