একজন মানুষ একবারে একজনই স্বামী/স্ত্রী বা প্রেমিক/প্রেমিকা রাখতে পারবে, এটাও কিন্তু একটা পুরুষতান্ত্রিক প্রথা বা আইন। এটা করা হয়েছে পুরুষের স্বার্থে – এজন্য যাতে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন পুরুষ সহজভাবে অধিক স্ত্রী গ্রহণ করতে না পারে এবং প্রতিটি পুরুষই একটি স্ত্রী গ্রহণ করার সুযোগ পায়।
এরকম প্রথা না থাকলে মানুষের প্রধান মিলন আচরণ হতো হারেম এবং নারীরা কেবল শক্তি ও ক্ষমতাশালী পুরুষের অধীনেই আশ্রয় গ্রহণ করতো। অন্য পুরুষরা হতো বঞ্চিত। আরবসহ যেসকল সমাজে এখনও হারেম প্রথা আছে, সেখানে অনেক পুরুষ তাদের জেনেটিক ধারাবাহিকতা রাখেতে ব্যর্থ হয়।
মুক্ত সমাজে এই চিত্র হতো আরো ভয়াবহ। উদাহরণ হিসেবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে উপস্থাপন করা যাক। তার যদি একবারে একজন প্রেমিকা/স্ত্রী রাখার সামাজিক বাধ্যবাধকতা না থাকতো, তাহলে কী হতো ভাবুন একবার। কতজনার স্ত্রী যে রোনালদোর দরজায় গিয়ে ভিড় করতো, তার ইয়ত্তা নেই।
আমাদের পূর্বপুরুষ মিসিং লিংকের মিলন পদ্ধতিও ছিল হারেম। আমাদের (মানুষের) নিকটাত্মীয়দের বেশ কিছু প্রজাতি এখনও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে।
আমাদের কি এই এক বিয়ে বা এক প্রেমিক/প্রেমিকা কেন্দ্রিক পুরুষতান্ত্রিক প্রথাটাও বাতিল দাবি করা উচিত?
সন্ন্যাসী রতন