একটা ছবিও আমাদের অসভ্য আচরণ!
ওয়েডিং ফটোগ্রাফি রিলেটেড পেইজগুলো কোনো বিয়ের ফটোশুটের পর সব ছবিগুলো একসাথে আপলোড দেয়। একটি বিয়ে অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোর ছবি স্মৃতি হিসেবে রাখার চেষ্টা নতুন কিছু নয়।
কিছুদিন আগে দেখেছিলাম একটি বিয়ে অনুষ্ঠানের এরকম এক সেট ছবির মধ্যে আরো অনেক ছবির সাথে
একটি ছবিতে রুমে নবদম্পতি বসে আছেন, একটু দূরে শাশুড়ি সম্বন্ধীয় বয়োজ্যেষ্ঠ একজন নারী দাঁড়িয়ে আছেন দরজার পাশে। বিয়ে অনুষ্ঠানে এভাবে একটি ক্লিক ওঠা খুব অস্বাভাবিক কিছু না।
কিন্তু মেয়েরা অনেকে দলেদলে এই ছবি শেয়ার দিয়ে ক্যাপশন দেয়, “এভাবেই নাকি ঘরে ঘরে শাশুড়িরা বর-কনের ঘরে আড়াল থেকে উঁকি মারে, ইন্টারফেয়ার করে!
কীসব আজেবাজে চিন্তা! তারচেয়ে বড় কথা যে ফ্যামিলির ছবিটি এভাবে ভাইরাল করা হচ্ছিল, তাদের মানসিক অবস্থা নিয়ে চিন্তা করা হয়?
আজ আবার দেখছি সকাল থেকে এই ছবি ভাইরাল। এখানেও ঘটনা একই। ফটোগ্রাফি পেইজ আরো প্রায় অর্ধশত ছবির সাথে এই ছবি আপলোড দিয়েছে। এই ছবির ঠিক পাশের ছবিটিতেই বর-কনে দুজনই কনের ছোটবোনের দিকে তাকিয়ে আছে। এই ছবিতে কনে হয়তো ঐ মোমেন্টে অন্য দিকে তাকিয়েছে, বর হয়তো তখনও তাকায় নি। কিন্তু তাতেই হাজারে হাজারে অবদমিত মনের মানুষের মনে ” রসালো পরকীয়া” ভাবনা উঁকি দিল। ছেলেদের চেয়েও মেয়েরা এই ছবিতে অধিক আনন্দিত! পুরুষ মাত্রই নাকি অন্য নারীর দিকে তাকিয়ে থাকে! পুরুষকে খোঁচা মারার জন্য মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে একখানা ছবি পাওয়া গেল বলে!
লাখে লাখে ট্রল হচ্ছে দেখলাম। পেইজগুলোও সমানতালে আপলোড দিচ্ছে। DSE গ্রুপে এই পরিবারের এক পরিচিতা পোস্ট দিয়েছেন পরিবারটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ছোট বোনটি কেঁদেকেটে একাকার!
নাহ! এসব ভাবার সময়, সুযোগ কই! নিজের সাথে না হলে তো আপনারা বুঝবেন না। তার আগ পর্যন্ত পারিবারিক সম্পর্কগুলো নিয়ে হাসিতামাশা করেই সময় যাক!
লেখা – জান্নাতুন নুর দিশা