আজ লিখব আমার পড়া একটি সত্যি গল্প, অটিস্টিক কিশোরীর গল্প।
টাইম ম্যাগাজিনে ২০০৬ সালের মে মাসে একজন অটিস্টিক কিশোরীর কথা ছাপা হয়েছিল।সে কোনো কিছু শিখতে অক্ষম।লেখাপড়া দূরে থাক, কথাও সে বলতে পারে না। বাবা, মা অনেক চেস্টা করে হাল ছেড়ে দিয়ে মেয়েটির জন্য একটি অক্ষম অর্থহীন কঠিন জীবনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মেয়েটির চিকিৎসক একদিন কৌতূহল বশত তাকে একটি বিশেষ ধরণের কম্পিউটারের কী বোর্ড ধরিয়ে দিয়ে বললেন, তুমি কি কিছু বলতে চাও? অনভ্যস্ত হাতে মেয়েটি কী বোর্ডে চাপ দিয়ে লিখল ‘মা আমি তোমাকে খুব ভালবাসি। ‘ সবাই একেবারে হতবাক হয়ে গেল। কেউ ভুলেও ধারনা করেনি যে মেয়েটির কোনো ভাষাজ্ঞান থাকতে পারে। এই বিশেষ কী বোর্ড দিয়ে সে বাইরের জগতে যোগাযোগ করতে যখন শিখল, তখন এক নূতন জগত উন্মুক্ত হয়ে গেল। কিছুদিনের মধ্যেই জানা গেল তার ভাষার উপর রয়েছে দারুণ দক্ষতা, চমৎকার রসবোধ। দেখতে দেখতে সে কলেজের এলজাব্রা আর জীববিজ্ঞান পড়তে শুরু করল। মেয়েটির মস্তিষ্ক একজন মেধাবী মানুষের মস্তিষ্ক। শুধু মাত্র শুনে শুনে সে শিখেছে অনেক কিছু, কিন্তু কিভাবে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে হয় জানে না বলে কেউ সেই খোঁজ পায় নি। বিজ্ঞানীদের কাছে এটা একটা রহস্যের মত। সৃষ্টি জগতের সবচেয়ে জটিল হচ্ছে মানুষের মস্তিষ্ক। সেই মস্তিষ্কের রহস্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে অটিজমের প্রশ্নের উত্তর। বিজ্ঞানীরা একদিন এই রহস্যের জটাজাল উন্মুক্ত করবেন, আমরা পরম আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছি সেই দিকে।