এস.এস.সি পরীক্ষা চলাকালীন কোনো একদিন বন্ধ ঘরে ষোড়শী কন্যার সাথে একা থাকার সময় তার উরুতে নিজের মাথাটা রেখে ঘুমিয়েছিলাম। ওইখানে ভালবাসা ছিল কি না বলতে পারি না। তবে অদ্ভূত এক ভাল লাগা ছিল….. তবে এটা নিশ্চিত, ওটা কামনা ছিল না….!
“
তারপর অনেকবার ভালবাসা খুজেছি। অনেকবার। কখনো কাউকে না জানিয়েও খুজেছি। ভালবাসার মীনিংটা বের করার
শত চেষ্টা করেছি। আশপাশের অনেকের ভালবাসা নিয়ে কল্পনায় রিসার্চ করেছি।
“
সামান্য বড় ভাই ইকবালের
ভালবাসাটা খুব কাছ থেকে শুনেছি। মেয়েটি বিবাহিত! স্বামী বিদেশ। ইকবাল ভাই উনার সাথে প্রেম করে মাইনাসে-মাইনাসে প্লাস করেন। এই ভালবাসার পরিণতি স্পষ্ট! আজ তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে শুধু দেয়া-নেয়ার সম্পর্কই। ভালবাসা নয়!
“
ইদানীং সমবয়সী এক বান্ধবীর ব্রেকআপের পর তার কাছে ব্রেকআপের কারন জানতে চাইলাম। বেচারী বললো, “ওর সাথে প্রেম করার পূর্বেই কন্ডিশন ছিল, প্রেম করবো। বিয়ে করবো না।” তবে এই প্রেমে ভালবাসার পরিমাণ কতটুকু ছিল?
“
আরেক ঘনিষ্ঠ ছেলে বন্ধুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তার প্রেমিকার বিয়ের পর একটা সময় ও রোজ মদ খেতো। রাতে মদ অথবা ট্যাবলেট ছাড়া ঘুমোতে পারতো না। এখন অনেকটাই লাইনে আসছে….. হয়তো বাস্তবটা বুঝেছে, হয়তো বুঝতে বাধ্য হয়েছে……!
“
আরেক পরিচিত অর্ধ বয়স্ক ভদ্রলোককে দেখি। স্যরি ভদ্র বললে ভূল হবে। উনি আগে ভদ্র ছিলেন। ছ্যকা খেয়ে অভদ্র হয়েছেন! সম্ভবত সকালে উঠে নাস্তা করেন মদ দিয়ে। খানিক সময় ট্রাফিক পয়েন্ট (বর্তমানে আলফাত স্কয়ার) এ উনাকে ভাষণ দিতেও দেখা যায়। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মদকেই উনার জীবন সঙ্গী করে পার করেও ফেলেছেন জীবনের তিন ভাগ সময়…!!
“
ভালবাসা খুজতে দেখেছিলাম, নন্দ পাগলার সমস্ত শরীরটাকে। সারাটা শরীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোতে ব্লেড দিয়ে খোদাই করে সযত্নে একটা মেয়ের নাম লেখে রেখেছে! দেখলেই গাঁ শিউরে উঠে। ও হয়তো প্রেমে ছ্যাকা খায়নি। এক তরফাভাবেই চালিয়ে যাচ্ছে। কারন ওর মধ্যে কোনো কোয়ালিটি নাই। একটা ছেলেকে ভালবাসার জন্য ন্যুনতম যে কারন থাকে, তার মধ্যে সেটাও নেই!
“
এগুলো কেবলমাত্র ভালবাসার উদাহরণ আর ধরন মাত্র। ভালবাসাকে অনেকটা পানির সাথেও তুলনা করা যায়। এটি ধরন আর ক্ষেত্র বিশেষে নিজ থেকেই পাল্টায়। আজকে ভালবাসা দিবসের দোহাই দিয়ে জীবনের প্রথম যে ছেলে অথবা মেয়েটা আদিম খেলায় মেতে উঠেছিল ওটাও ভালবাসারই একটা অংশ!
“
তবে আমার ভালবাসার পদ্ধতিটা পুরো ভিন্ন। মাসের ত্রিশ দিনের একদিনও বাদ নেই, যেদিন আমি নতুন করে কারো প্রেমে পরি না! এই পরিমাণটা অনেক সময় বেড়ে দৈনিক ৮-১০ জনেও গড়ায়! তারপরও ষোড়শী বালিকার ওই অদ্ভূত ভালো লাগাটা খুজে পাই না……
কার্টেসি – প্রলয় দাস