এক অসামান্য মনিষী র কথা। ডিমেট্রি মেনডেলিফ।
সেই ১৮৫০ সালের কথা, রবীন্দ্রনাথ জন্মান নাই। তখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা যাওয়া কী ভয়ানক ছিল। মানুষ হাঁটত মাইলের পর মাইল।হয়ত গরু বা ঘোড়ার গাড়ি তে কিছুক্ষণ আবার হাঁটা। আমরা ভাবতেও পারি না।
তো মেন্ডেলিফ মাত্র হাজার খানিক মাইল হেঁটে মস্কো পৌঁছুলেন পড়ার জন্য। কীজানি কী ভেবে মস্কো স্টেট ইউনিভারসিটি তাঁকে তাঁর এপ্লিকেশনের মূল্য ই দিল না।
দমলেন না তিনি। আরে তিনি দমে গেলে এই অসামান্য পিরিওডিক টেবিল পেতাম কই?
আবার হাঁটতে শুরু করলেন। বিস্তর দূরত্ব।
ওই যে বললাম জীবন কৃপণ নন। সেন্ট পিটার্সবাগ ইউনিভারসিটিতে চান্স পেলেন। এখানেই তিনি আরো উন্নত করলেন পিরিওডিক টেবিলের এলিমেন্টের।
জানিনা অবশ্য মস্কো স্টেট ইউনিভারসিটি আঙুল কামড়াচ্ছিল কিনা।
জীবন তো এমন ই। আজ যাকে তুচ্ছ বলে পাত্তাই দিলে না, সেই একদিন দেখিয়ে দেবে জগৎ সভার শ্রেষ্ঠ আসন তার ই প্রাপ্য ছিল।স্বর্ণাক্ষরে নাম লেখা রইল ডিমেট্রি মেন্ডেলিফের।।।।।।