ভেজাল মদের কারণে দুদিনে দেশে মারা গেছেন ১৭ জন। ব্যাপারটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এদেশে মদ জিনিসটা বাল্যপ্রেমের মতোই। করে সবাই , কিন্তু বলতে লজ্জা পায়। আর এই দ্বিচারিতা থেকেই ঘটে বিপত্তি। অথচ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি , দেশে মদটা পুরোপুরি লিগালাইজ করে দিলে দেশ থেকে ইয়াবা , ফেন্সিডিল , হিরোইন সব নিজে থেকেই মুছে যাবে। ক্রসফায়ার এর আর প্রয়োজন হবেনা।
যারা মারা গেছেন , সবাই বিদেশী মদ কিনতে গিয়ে ভেজালকারীদের পাল্লায় পড়েছেন আর এরকম দুঃখজনকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। এর অন্যতম কারণ হিসেবে মাদকদ্রব্যে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সাক্ষাৎকার এ দায়ী করেছেন , বাজারে চাহিদার তুলনায় বৈধ মদের সাপ্লাই কমে যাওয়াকে।
এটা কিন্তু খুবই স্বাভাবিক। দেশের একটি মাত্র মদ তৈরীর বৈধ কারখানা কেরু এণ্ড কোং এর পক্ষে দেশের কয়েককোটি রেগুলার এবং আরো কয়েককোটি শখের মদারুর চাহিদা মেটানো একেবারেই অসম্ভব। আর বৈধ বিয়ার বলতেতো যমুনা গ্রুপের হান্টার নামের এনার্জি ড্রিংক্স। তাই পাবলিক ঝুকে পড়ে বিদেশী মদের দিকে। কেউ কেউ আবার “ফরেন ছাড়া প্রেস্টিজে লাগে” এরকম ফুটানি দেখাতেও বিদেশী মদ কিনতে গিয়ে এভাবেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েন।
তাই ভবিষ্যতে এধরণের বিপর্যয় যাতে আর না ঘটে তার জন্য আমার তিন দফা প্রস্তাবনা পেশ করছি।
১. অবিলম্বে দেশে আরো কয়েকটি মদ , বিয়ারের কারখানা স্থাপন করতে হবে। যাতে এই কয়েক কোটি মানুষের চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত সাপ্লাই দেয়া সম্ভব হয়।
২. লাইসেন্স প্রাপ্তি সহজলভ্য করে দিতে হবে। যাতে লাইসেন্স এর কারণে বৈধ মদের বদলে মানুষ অবৈধ মদ কিনতে বাধ্য নাহয়।
৩. বিশেষ কিছু ক্লাব বা বার ব্যতীত আর কোথাও যেন ফরেন লিকার বিক্রি নাহয় , সেদিকে কঠোর নজরদারি করতে হবে। এছাড়া রীতিমতো ইন্সপেকশনের মাধ্যমে কোয়ালিটিও নিশ্চিত করতে হবে।
এই তিনদফা দাবীতে আমি সংশিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।