এম আর আখতার মুকুলের “আমি বিজয় দেখেছি” পড়েছেন? লেখক ওখানে বাংলাদেশী জাতীয়বাদ বলতে বাঙালি মুসলমানের জাতীয়তাবাদই বুঝিয়েছে। কথায় কথায় মুসলমান হিন্দুর উধারহণ টেনেছে লেখক। আপনার লেখা প্রসঙ্গে বলতে চাই, মুকুল সাহেব কিন্তু হিন্দুদের হারানো দেশ ফিরে পাওয়া যে সম্ভব না এটা স্পষ্ট করে শ্যামবাজার পাঁচ রাস্তার মোড়ে “এপার বাংলা ওপার বাংলার গুণিজনদের সংবর্ধনা” অনুষ্ঠানে চাউড় করে বলে এসেছেন। তিনি তার বইতে লিখেছেন, “আমার বক্তব্য শেষ করার মুহূর্তে আপনাদের কাছে বলতে চাই বাংলাদেশের এই ভয়াবহ দুর্দিনে আপনারা (ভারতীয় বাঙালিরা) আশ্রয় দিয়েছেন– আপনজন ভেবে কাছে টেনে নিয়েছেন। এজন্য আপনাদের জানাই আমাদের কৃতজ্ঞতা। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, আপনারা যারা সাতচল্লিশ, পঞ্চাশ, আটান্নো, বাষট্টি কিংবা পয়ষট্টি সালে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত এসেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের পর আবার তারা এককালের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, একাত্তরে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে যারা দানবীয় আক্রমণের মুখে বাস্তুচ্যুত হয়ে চলে এসেছেন, দেশ স্বাধীনের পর তারা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে পারবেন।” (৫৩ পৃষ্ঠা)
মাঝে মধ্যে পশ্চিম বাংলার কিছু হিন্দু বুদ্ধিজীবী, সাধারণ নাগরিক, আলবালছাল আক্ষেপ করে বাংলাদেশের নিজের পূর্বপুরুষদের ভিটেমাটির কথা খুব দুক্ষভরে স্মরণ করে। শেষবারের জন্য হলেও একবার চোখের দেখা দেখতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের কোন রিফুজি সেই যে ভারত ছেড়ে এসেছে তারপর আর সোদেওনি।