এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়ার পর আমি হাউমাউ করে কেঁদেছিলাম। আশপাশের বাসার মানুষজন এবং আত্মীয়স্বজন ভেবেছিলো আমি বোধকরি ফেল করেছি!
এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের পর সেই কান্না আরও দীর্ঘ হয়েছে। এমন জোরে জোরে কাঁদছিলাম যে আমার মামাতো ভাই এসে জিজ্ঞেস করেছে- টুটুল (আমার ডাক নাম) ভাই কী ফেল করেছে?
নাহ, কোন পরীক্ষায়’ই আমি ফেল করিনি। মোটামুটি ভালো রেজাল্ট’ই করেছিলাম। কিন্তু আমার প্রত্যাশা আরও বেশি ছিল। আমি কখনো কোন দিন আমার পড়াশুনা এবং একাডেমীক লাইফ নিয়ে আত্মতুষ্টি’তে ভুগি’নি। রেজাল্ট যা’ই হোক, এই ব্যাপারটাই আমাকে সামনের পথ দেখিয়েছে।
যার কারনে ক্লাসের ফার্স্ট, সেকেন্ড বয়’রা হয়ত একটা সময় থেমে গিয়েছে। কিন্তু আমি আমার মতো করে এগিয়েছি। এখনও সে চেষ্টাতেই আছি। এগিয়ে যাবার চেষ্টা।
যেই আমার স্কুলের পড়াশুনাই বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিলো । সে আমি’ই এখন ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াই। এটি সম্ভব হয়েছে স্রেফ ইচ্ছা এবং লেগে থাকার মানসিকতার কারনে।
জগতে মেধাবীর অভাব নেই। তবে লেগে থাকার মানসিকতা খুব মানুষেরই থাকে। যারা লেগে থাকতে পারে; তারা একটা না একটা সময় ঠিক’ই এগিয়ে যায়।