প্রথমেই সবাইকে গীতা জয়ন্তী ও মোক্ষদা একাদশীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। 🙏
সেবা কাজে, রামকৃষ্ণ মিশনের মতো সংগঠন হয়তো বাংলাদেশে আর দ্বিতীয়টি নাই। দুস্থদের বিভিন্ন সময়ে পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে রামকৃষ্ণ মিশনের ভূমিকা সত্যিই অপরিমেয়। এই করোনা কালীন সময়ে বিভিন্ন মিশনে প্রায় প্রতিদিন ত্রান দেওয়া হয়েছে হিন্দুদের। অন্যান্য সংগঠনও সেবা কার্য চালায় তবে বাংলাদেশে রামকৃষ্ণ মিশন অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনের চেয়ে জনসেবা কাজে এগিয়ে।🙏🙏
ইস্কন বাংলাদেশের অন্যতম একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এরাও সেবাকাজ চালায়। তবে এদের মূল অবদান, দেশ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় এরা হরিনাম বিলিয়ে বেড়াচ্ছে। এদের বদৌলতে বিভিন্ন দেশবাসীরা ধুতি শাড়ি পড়ে হরেকৃষ্ণ বলে নাচছে। সনাতন ধর্মের প্রচার প্রসারে এতেটা সফল মনে হয় আর কোনো সংগঠন হতে পারে নাই।🙏🙏
অনুকূলচন্দ্রের সৎসঙ্গ আশ্রমও আমাদের দেশের বড় সংগঠন গুলোর একটা। এই সংগঠনেরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে। 🙏🙏
এতো মহান সংগঠনগুলোর গত দুইদিনের অবস্থা আমি রীতিমতো হতাশ।🙂 কোনো সংগঠন বলছে যিশু, মহানবী আমাদের অবতার। কোনো সংগঠন আবার বলছে নবী আর রাম একই। কোনো সংগঠন আবার এই বাক্যকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে যিশু পূজা, নবী পূজা শুরু করে দিছে।🙂
হয়রে সনাতনী। বাহ্ 🙂। তালি হবে👏👏।
আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় কি জানেন এসব সংগঠনের অনুসারীরা নিজেদের সংগঠনের দোষ ঢেকে অন্যের সংগঠনকে একেবারে ধুয়ে দিচ্ছি।
যেমন ধরেন ইস্কনের মত পোষণকারীরা রামকৃষ্ণ মিশনের যিশু পূজা নিয়ে পোস্ট দিয়ে ধুয়ে দিচ্ছে। অথচ প্রভুপাদ যে কৃষ্ণ যিশু একই, নবী ও যিশু শক্তাবেশ অবতার এসব বলে গেছেন তা তাদের কাছে তেমন কিছু না। প্রভুপাদের ভুলটা তাদের কাছে সঠিক। তাদের মতে প্রভুপাদ ঠিকই করে গেছিলেন।🙂
আবার দেখুন, রামকৃষ্ণ মিশনের মত পোষণকারীরা ইসকনের প্রভুপাদের যিশু ও নবীকে নিয়ে বক্তব্য গুলো পোস্ট করে পাল্টা জবাব দিচ্ছে। বড় দিনে কেন বড় কেক কাটলো ইস্কনীরা। তাদের মতে আবার তারা যিশু পূজা করেছে এটা ঠিক আছে। কিন্তু প্রভুপাদ কেন যিশুকে অবতার বললো সেটা প্রভুপাদের ভুল। অথচ তারা ফুল বেল পাতা দিয়ে পূজা করবে, ওঁ যিশুবে নমঃ মন্ত্র বলবে তাতে কোনোই সমস্যা নাই।🙂
সৎসঙ্গ নিয়ে আর কি বলবো🙂। তারা তো রসূল গীতা নামে একটা গীতাই লিখে ফেলেছেন। 🙂 কি জানি, কে জানে আজ গীতা জয়ন্তীতে সেটাই পাঠ করা হয় কিনা🙂
তারপর আবার নতুন এক সংগঠন জার্মানের “ভক্তিমার্গ” তারা বড়দিনকে আরো শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে যিশুর মূর্তি অভিশেক করিয়ে তাদের মন্দিরের সকল বিগ্রহকে সান্তাক্লস সাজিয়ে যিশুর নামে বিশেষ পূজা করছে। 🙂
এইযে এভাবে অন্যের নবী, অন্যের ঈশ্বরপুত্রকে নিজেদের অবতার পুরুষ বানিয়ে যে পূজা করছেন, তাহলে আবার লাভ জিহাদ নিয়ে এতো ফালাফালি কেন করেন?🙂 তারা তো এসব সংগঠনের শিক্ষাকেই অনুসরণ করছে। 🙂 নবী, যিশু যদি অবতার হয় তাহলে তাদের প্রবর্তিত ধর্ম গ্রহনে তো সমস্যা নাই, সব একই।🙂
আর কত ঘুমাবেন ভাই? আর কত পরে পরে মার খাবেন? কবে শিক্ষা হবে আপনাদের? যাদের অবতার ভাবছেন পূজা করছেন তাদের প্রবর্তিত বই গুলোতে আপনার ধর্ম সম্পর্কে কি বলা আছে একটু খুঁজে দেইখেন তো। হ্যাঁ আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবকে বড়দিন ঈদের শুভেচ্ছা জানাতেই পারেন। যিশু নবীকে শ্রদ্ধা করতেই পারেন। তাই বলে ভাই তাদেরকে সনাতন ধর্মের অবতার পুরুষ বানিয়ে পূজা করবেন। বাহ্ রে বাহ্👏👏👏👏
আপানাদের থেকে তো সেকুলার, নাস্তিকরা অনেক ভালো। তারা অন্তত ধর্মকে ঝোলায় নিয়ে এসব করে না। আপনারা তো ধর্মকে ঝোলায় নিয়ে এসব করছেন।🙂
এখন হিন্দুর ঘরে ঘরে যিশু ও নবী পূজা শুরু হলে ১৬ কলা পূর্ণ হবে একদম।👏👏👏👏
ভুল সবারই হয়। মানুষ মাত্রই ভুল। কিন্তু সেই ভুল গুলোকে আকড়ে ধরে যদি ভুলটাকে সত্য বলে প্রমাণ করতে চান তহলে নিজের অস্তিত্বটাই মিথ্যা হয়ে যাবে।সংগঠন গুলোর কাছে অনুরোধ থাকবে তাদের এসব ভুল গুলো যেন তারা সংশোধন করেন। এগুলো আমাদের ধর্মের কোনো আচরণের মধ্যে পড়ে না। বরং এসব আলগা উদারতা দেখাতে গিয়ে হিন্দুধর্মকে মানুষের উপহাসের পাত্র বানিয়ে দিচ্ছেন তা কি আপনাদের মত জ্ঞানীগুণীদের বোধগম্য হচ্ছে না?🙂
আর দয়া করে এক সংগঠনের লোকেরা অন্য সংগঠনের উপর আঙ্গুল তোলার আগে নিজের সংগঠনের দিকে আঙ্গুল তুলুন। 🙂
এসব ভন্ডামি বন্ধ করুন। সাধারণ হিন্দুদের অনুরোধ থাকবে আপনাদের প্রতি।🙏🙏🙏🙏