ওনার নাম শ্রী স্বামী পরমানন্দ সরস্বতী গিরি মহারাজ।

Uncategorized
আজকিছু  সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিজেদের ধর্ম অবমাননার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আর বিদেশীরা সনাতন ধর্মের টানে নিজেদের সমস্ত জীবন উৎসর্গ করে চলেছেন। 
ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি সুদূর আমেরিকা থেকে পাড়ি জমিয়েছেন আমাদের এই দেশে। 
প্রসঙ্গত চলে আসে উনি কোথায় আছেন ?
উনি থাকেন চন্দ্রনাথ পাহাড়ের তলে ব্যাস কুন্ড জলাশয়ের পাশে অবস্থিত শংকর মঠে । 
উনি কি করেন ? 
উনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অন্যতম পরিচিত মুখ সেখানকার গবেষক এবং সেই সাথে আরো কিছু কাজের সাথে যুক্ত( হয়তো আরো কিছু সংযুক্ত হবে এখন পর্যন্ত যেটুকু জানি সেটুকু দিলাম) । 
ওনার বয়স কত? 
ওনার বয়স ৮৪ বছর । এই বয়সে উনি যে কাজ করেন তা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে চলুন জেনে নেয়া যাক। 
প্রত্যেকদিন সকালে সূর্য উদয়ের আগে উনি ব্যাস কুন্ড থেকে জল ও আনুষঙ্গিক পূজার জিনিসপত্র নিয়ে যাত্রা করেন চন্দ্রনাথ ধাম এর উদ্দেশ্যে। 
উনার যাত্রাপথে উনি কাউকে সঙ্গে নেন না । 
উনার পোশাক হিসেবে থাকে ছবিতে তা দেখছেন ওটাই। শীত হোক বা গরম পোশাক এটাই। 
উনার যাত্রাপথে কোনো বিরতি নেই । সরাসরি চন্দ্রনাথ ধাম এ গিয়ে শিব শংকরের পূজা দিয়ে সেখানে ধ্যান করেন। এবং তারপরে প্রসাদ নিয়ে সরাসরি ব্যাস কুন্ডের পাশে শংকর মঠে চলে আসেন । এর পরে তিনি সেই প্রসাদ গ্রহণ করেন।
এভাবে প্রত্যেকটা দিন একই নিয়মে চলে । ৮৪ বছর বয়সে এটা যেমন তেমন ব্যাপার নয়। 
চলুন জেনে নেয়া যাক ওনার জীবন সম্পর্কে। 
দেখে কি মনে হচ্ছে আপনার ওনাকে? যা ভাবছেন ভুল
উনি ভারত-নেপাল এবং বাংলাদেশ এ স্কুল ও কলেজ স্থাপন করেছেন বেশ কয়েকটি। এরমধ্যে নেপাল এবং ভারতে বেশি ।
সীতাকুণ্ডে সংস্কৃত কলেজ টি তার নিজের প্রতিষ্ঠিত কলেজ। সেই ভবনটিও তার নামেই নির্মিত । কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করেছেন সনাতন ধর্মের প্রচার এর লক্ষ্যে সনাতন ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে । 
নিজে ত্যাগ করেছেন জাগতিক মায়া সুখ-স্বাচ্ছন্দ সবকিছুই। 
ওনার সাথে কথা বলাটাও ভীষণ দুরূহ ব্যাপার । কথা একদম বলতেই চান না বলা যায় ।  
আমেরিকাতেও ওনার ভক্ত বৃন্দ রয়েছেন । উনি আহার  করেন একদম সামান্য। 
উনার কক্ষে একটি চৌকি একটি টেবিল আর সম্পদের মধ্যে তার ল্যাপটপটি রয়েছে সাথে ল্যাপটপের চার্জার।  
ওনাকে সব রকমের ফেসিলিটি পূর্ণ রুম দেয়া হয়েছিল তিনি তা গ্রহণ করেননি উনি ওনার জীবনকে ধর্মের পথে উৎসর্গ করছেন।  
এমন মহৎ ব্যক্তি আমাদের অনেক রয়েছেন কিন্তু তাদের প্রচার নেই। প্রচার না হওয়ার ফলে আমরা নিজেরাও জানতে পারি না আমাদের ভিতরে কি শক্তি রয়েছে। 
নামটাই তো আপনাদের বলতে ভুলে গিয়েছি তাই না?
ওনার নাম শ্রী স্বামী পরমানন্দ সরস্বতী গিরি মহারাজ। 
ধন্যবাদ 
সীমান্ত মালাকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *