কয়েকটি কথা ভাল না লাগলে এড়িয়ে যাবেনঃ
ইদানিং ফেসবুকে ধর্ম ত্যাগ নিয়ে কিংবা ভিন্ন ধর্মের ছেলে বা মেয়ের সাথে সম্পর্ক নিয়ে অনেক পোস্ট দেখা যায়। কিন্ত একবার ভাবুন যে নিজের ধর্ম ত্যাগ করতে পারে সে কি না করতে পারে।
দুঃখের কথা হলেও সত্যি আমাদের সনাতন ধর্মের লোক শুরুতে সবচেয়ে বেশি থাকলেও বর্তমানে নিম্ন মুখি হয়ে সবচেয়ে নিচে নেমে গেছে।
এর প্রধান কারণ কি??
যদি বলি প্রধান দায়ী প্রতিটি পরিবারের অভিভাবক তবে কি ভুল বলা হবে?
পরিবারের কয়জন অভিভাবক আছেন যারা তাদের সন্তানদের ধর্মের কথা শেখাচ্ছেন?
আজ আমাদের সনাতন ধর্মের এমন কোন ছেলে মেয়ে খুজে পাওয়া যাবে না যারা ধর্ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানে।।
কিন্ত অধিকাংশ ছেলে মেয়ে এ কথা গুলো ঠিকই জানে
ভগবান কৃষ্ণ ভগবান শিব তাও না শুধু কৃষ্ণ করলে লীলা আমরা করলে,, শিব খায় আমরাও খাবো,,
এর দায় আমাদের নয়কি? কয়জন পিতামাতা আছেন যারা সন্তানদের কৃষ্ণের সঠিক মহিমা ভালকরে বুঝিয়েছেন,,িশবের অপার শক্তির কথা বর্ণনা করেছেন,, সকাল বেলা গীতা বেদ বই হাতে তুলে দিয়েছেন?
আজ আমাদের মধ্যে কেউ তুলসি মালা পরলে কিংবা গীতা পড়তে বসলেও পাশে যে কেউ আসলে বলে ওঠে ওরে আমার ধার্মিক হয়েছে একজন।।
এত সুন্দর একটা ধর্ম পাওয়ার পরও অতি সহজেই ধর্ম
ত্যাগ করছে অনেক ছেলে মেয়ে।।মূলত তাদের ধর্মের প্রতি নেই কোন ভালবাসা তারা অধিকাংশই ধর্মকি সেটাই জানে না।।
আজ আমরা নমস্কার দিতে লজ্জা বোধ করি।পায়ে হাত দিয়ে নমস্কার করা নেই বললেই চলে,,ধর্ম নিয়ে হাসা হাসি করি ঠাকুর দেবতা নিয়ে কৌতুক বানাই,, কোন পূজাই আর পূজা নেই, পূজায় অনুষ্ঠান না হলে লোক হয় না মানলাম কিন্তু সব কয়দিন ডিজে নাচ না দিয়ে অন্তত একদিন হলেও তো ধর্মের কথা কিংবা কিত্তন রামযাত্রা কিছু একটা হওয়া উচিত।।
জানি এগুলো পরিবর্তন করা সম্ভব নয়,তারপরও বলবো ছোট থেকে যে সব ছেলে মেয়ে পড়াশোনায় ভালো হয়না তারা অধিকাংশ ঝরে পরে,, সেরকম ছোট বেলা থেকে সন্তানদের ধর্মের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে না পারলে বড় হলে নিজ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে না এটাই স্বাভাবিক।।
সবাই ভাল থাকবেন ধর্মের পথে চলবেন ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন নমস্কার।।