কাঠ মোল্লাদের একাল সেকাল;
এই উপমহাদেশে প্রথম রেল চালু হলে সেই সময়ের কাঠ মোল্লার দল রেলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, ফতোয়া জারি করেছিল! তাদের দাবী ছিল, মাটির উপর দিয়ে রেল চললে নাকি কবরে আজাব বেশি হবে!
এর পর কাঠ মোল্লার দল ফতোয়া দিয়ে বলল, ইংরেজি পড়া হারাম!
তারপর কাঠ মোল্লার দল, চিকিৎসা বিজ্ঞান, বিজ্ঞান সহ সকল আধুনিক শিক্ষার বিরুদ্ধে চলে গেলো! নিজেরা শতভাগ মাদ্রাসায় ঢুকে গেল!
ওরা মাইকের বিরুদ্ধেও এক সময়ে ফতোয়া দিয়েছিল!
এর পর ছবি তোলা শুরু হলে, ওরা বলল ছবি তোলা হারাম!
কাঠ বলদের দল, সিনেমা, মুভি, নাটক, চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধেও ফতোয়া দিয়েছিল! এরা টিভিকে শয়তানের বাক্সো বলত!
মানুষ যখন চাঁদে যাওয়া শুরু করল তখন এই কাঠ মোল্লার দল বলা শুরু করল, এ সব মিথ্যা, বানোয়াট, গুজব! কিছুদিন পর, এরাই বলল, নীল আর্মস্ট্রং নাকি চান্দে যেয়ে আজান শুনেছিল! এরা নাকি মরার আগে মুসলিমও হয়েছিল, শিবির এটিও প্রচার করেছিল!
এরা আধুনিক অর্থনীতি, ব্যাংকিং, শেয়ার বাজার সব কিছুর বিরুদ্ধেই ফতোয়া দিয়েছিল!
এরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে আজীবন ঘৃণা করে এসেছে!
এরা গণতন্ত্র হারাম, ভোট দেওয়া হারাম বলল! এরা বলল, ইসলামে গণতন্ত্র নিষিদ্ধ! এখন এরা ভোটে দাঁড়াতে চায়, মানুষের কাছে ভোট চায়, নির্বাচন করে!
এরা এখন ছবি তোলে, পোস্টারে ছবি দিয়ে ছয়লাব করে, মসজিদে মাইক বাজায়, মাইকে ওয়াজ করে, ভিডিও করে, নাটক বানায়, ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায়, মুভি দেখে(বলে ইসলামি মুভি), ট্রেনে চড়ে, বিমানে চড়ে, হেলিকপ্টারে চড়ে, রোগ হলে ঝাঁড় ফুঁ না দিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়!
এই সকল কাঠ বলদ, কাঠ মোল্লার দল নিজেরাও জানে ভাস্কর্য কি, মূর্তি কি! এরা ২০০ বছর আগেও যে তিমিরে ছিল এখনও সেই তিমিরেই আছে! তবে, এদের পরের দান, খয়রাতের টাকায় চলার অভ্যাস দিন দিন আরোও সুসংহত হয়েছে!