কুষ্টিয়ার অমূল্য এক রতনের নাম গগন হরকরা

Uncategorized

“কুষ্টিয়ার অমূল্য এক রতনের নাম
                 গগন হরকরা”
—————————————————

কুষ্টিয়ার অমূল্য এক রতনের নাম গগন হরকরা। ডাকঘরের সামান্য কর্মচারি হয়েও দৃষ্টি কাড়তে পেরেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের।

শুধু দৃষ্টি আকর্ষণই নয়, প্রভাবিতও করেছিলেন কবিগুরুকে। সান্নিধ্য পেয়েছিলেন মহামতি লালন সাঁইজির।

গগন হরকরা কার কাছ থেকে কিভাবে গানের দীক্ষা নিয়েছিলেন তা জানা সম্ভব হয়নি, তবে গগন লালনের গানের খুব ভক্ত ছিলেন। লালনও গগনের গান এবং গগনের সান্নিধ্য খুব পছন্দ করতেন।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গগনের কাছে গগন ও লালনের গান শুনতেন। গগনের গান ‘আমি কোথায় পাব তারের’ সুরে প্রভাবিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ লিখেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘ডাকঘর’ নাটকটি যে গগন হরকরার জীবন থেকে প্রভাবিত হয়ে লিখেছিলেন নাটকের গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর চরিত্রটিই তা প্রমান করে। গগন হরকরা আনুমানিক ১৮৪৫ খ্রিষ্টাব্দে শিলাইদহের কসবা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তার পিতা-মাতা সম্বন্ধে তেমন কোনো তথ্য জানা সম্ভব হয়নি তবে তার একটি ছেলের নাম কিরণ চন্দ্র ছিল বলে জানা যায়।

গগন প্রথমে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন পাশাপাশি তৎকালীন শিলাইদহের ডাক ঘরের ডাক হরকরা’র চাকুরি করতেন। মৃত্যুর তারিখ অজ্ঞাত।

তথ্যসূত্রঃ ‘জানা অজানা’
২৭ এপ্রিল ২০১৫

(কুষ্টিয়ায় স্থাপনকৃত গগন হরকরার আবক্ষ মূর্তি)
Courtesy : Mesba Khan

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *