কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এর পিছনে ‘মীম’ এর বিবস্ত্র লাশ পাওয়া গেছে।
ছোট্ট একটা মেয়ে ক্যাম্পাসে ফুল বেঁচতো। আপু ,ফুল নেও ফুল নেও (!)
কইরা গায়ের সাথে ঘষাঘষি করতে করতে ঘাপটি মাইরা গল্প শুনতো।
কত বয়স? ওই ১৩-১৪!
সে একজন পথশিশু কিংবা তার “এইটুক” বয়স কিছুই তার প্রধান পরিচয় দেয়না।
যেইটা তার প্রধান পরিচয় তা হইলো সে একজন ‘নারী'(!) এবং সে হতদরিদ্র, ঠিকানাবিহীন নারী।
তারে কেউ কিছু করুক,মারুক তাতে কারো কিচ্ছু যায় আসেনা কিংবা এই আসা যাওয়া আমার মত কয়েকজনের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়ার মধ্যেই রাত পোহায়া সকাল হইলেই শ্যাষ।
এখানে কোনো বাঁধা নেই,নেই মানা যাচ্ছে তাই করার।
তাই বঙ্গদেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মীমরে রাতের আঁধারে ধর্ষণ করার পরে খুন কইরা ফেলসে।
শুধু খুনই করে নাই, বরং খুনের পরে মীমের নিথর দেহখানা যারে আমরা লাশ বলতেসি সেইটারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে দেশ ও জাতির জন্য নিউজ আইটেম হিসাবে ফালায়ে রাইখা গেসে এই সমাজ!
দিনশেষে শহীদ মিনার আর সেখানে একজন কিশোরীর বিবস্ত্র লাশ!
তো শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মেয়েটা কোন পোশাক পরা ছিলো জানা যায়নি, গেলে আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে যাতে আপনারা অজুহাত খাড়া করতে পারেন।
আর যেহেতু মেয়েটা গরীব সেহেতু আপনাদের পশ চেতনাকে জাগ্রত হবার আশাও রাখিনা৷
তবে শহীদ মিনারের যদি চোখ থাকত, আজকে সে নিশ্চয়ই কাঁদত!
কিন্তু আপনার যদি কান্না আসে, ছোট্ট মুখটার কথা মনে কইরা কান্না আসে তবে আপনারা বরং ফেসবুক থিক্কাই চইলা যান।
কান্দাকাটি,লেখালেখি এইসবে আসলেই লাভ নাই।
আমিও যাই।শুভ রাত!
সুমাইয়া অনন্যা