সর্ব্বো দন্ডজিতো লোকো দুর্লভো হি শুচির্নরঃ।
দন্ডস্য হি ভয়াৎ সর্ব্বং জগদ্ভোগায় কল্পতে।।
(মনু ৭।২২)
সমুদায় লোকই দন্ড ভয়ে সুপথগামী হয়, স্বাভাবিক বিশুদ্ধ স্বভাব মনুষ্য জগতে অতি বিরল। কেবল দন্ডের শাসনেই সমুদায় জগত ভোগপ্রাপ্ত হয়।
আধুনিক ভোগসর্বস্ব, শিড়দাঁড়াহীন, হাহাকার-প্রিয় হিন্দুকে ছেড়ে প্রাচীন দ্বিধাহীন হিন্দু ও তার রাষ্ট্রীয় চিন্তার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করা হোক। মনু থেকে শুক্রাচার্য থেকে কৌটিল্য থেকে বিনয় সরকার ও বস্ততান্ত্রিক আর্য সনাতন হিন্দুর অসংখ্য টিকা টিপ্পনীতে হিংস্রতা ও তার প্রয়োগকে এক অতীব স্বাভাবিক পন্থা, ব্যক্তি বা রাষ্ট্রীয় জীবনে নির্ধারিত করা হয়েছে। আধুনিক ধর্মভ্রষ্ট হিন্দু তা থেকে লক্ষ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করে।
প্রতি বছর অতীব নিষ্ঠায় ‘Never Forgive, Never Forget’ – এর বাণী ছড়িয়ে পড়ে ভারতবসীর অন্তরে জগতের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে আজ ২৬/১১,মুম্বাই ঐসলামিক সন্ত্রাসবাদের নৃশংতম আক্রমণের দিবসে, যদিও বাস্তবে ভারত (শাসন ক্ষমতায় আসীন রাজনৈতিক শক্তি ও চিন্তা নির্বিশেষে) সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে এই ধারার নির্মূলীকরণে (annihilation of the thought procedure)… এবং তা হয়েছে মূলত অসামরিক, ছিন্ন ভিন্ন হিন্দুর জন্যই যার আশা আকাঙ্খার প্রভাব ভারতবর্ষের রাষ্ট্রীয় নীতিতে কার্যত শূন্য। এবং এইভাবেই চলবে…. গত এক সহস্রাব্দের মতো… রক্তপ্লাবিত রাজপথে, রক্তস্রোতের বন্যায়… এবং অজস্র মিথ্যার বাতাবরণে…. আততায়ীরা ঘটনা ঘটার মাত্র কয়েকদিন পূর্বে স্টিমার সহযোগে করাচী থেকে এসেছিল: সত্য হল তারা তাজ হোটেলে ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশে ছিল বেশ কিছু মাস একনাগাড়ে ও বহাল তবিয়তে….
আসুন মিথ্যার পাঁচন গিলে ২৬/১১-এর নিহত ও মৃত্যুঞ্জয়ীদের উদ্দেশ্যে ক্ষণিকের নীরবতা পালন, দু ফোঁটা অশ্রু ব্যয় করে আজ সন্ধ্যা থেকেই অন্য বিষয় নিয়ে মেতে উঠি… জ্ঞানগর্ভ ভাষণ ঝাড়ি social media তে.. life moves on… জীবন থেমে থাকেনা…. পরবর্তী সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের অপেক্ষায়… আমার অধিকার একমাত্র প্রতিক্রিয়ায়, ক্রিয়ায় নয় ইত্যাদি অহিন্দু বিশ্বাসে।