খুব সম্ভবত তখন আমি ক্লাস ওয়ান কি টুয়ে পড়ি।

Uncategorized
খুব সম্ভবত তখন আমি ক্লাস ওয়ান কি টুয়ে পড়ি। আমাদের পাশের বাসায় একজন হিন্দু ভদ্রলোক ভাড়াটে হয়ে আসলেন। পেশায় ডাক্তার। উনারা লালমনিরহাটের মানুষ। চাকুরিসূত্রে ময়মনসিংহ  থাকতে আসছেন। উনার দুই মেয়ে আমার সমবয়সী । আমরা এলাকায় যেসব আন্ডাবাচ্চা একসাথে খেলতাম কিছুদিনের মধ্যেই ডাক্তার সাহেবের দুই মেয়ের সাথেও আমাদের ভাব হইয়া গেলো। 
তো বাচ্চাদের মধ্যে যেমন প্রায়ই ঝগড়া লাগে তেমন তাদের সাথেও একবার ঝগড়া হইলো, আমাদের তিন চারজনের। আমার মনে আছে, ঝগড়ার পর আমরা কয়জন পিচ্চি মিইল্লা ওদের বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়ায়া চিৎকার কইরা কইরা  “হিন্দু হিন্দু তুলসীপাতা, হিন্দুরা খায় গরুর মাথা” এই ছন্দ বলতেছিলাম। বাচ্চা দুই মেয়ে কি বুঝলো জানি না, ফুপাইয়া ফুপাইয়া কান্না করতে করতে চইলা গেলো ভিতরে। 
ঐ বয়সে এই কথার মানে কী কিংবা তাৎপর্য কী তা না বুঝলেও এইটুকু বুঝতাম তারা হিন্দু। তারা মালাউন। তারা আমাদের চেয়ে আলাদা। আমরা তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। ক্লাসের ধর্ম বইয়ে টিচার পড়াইছে, ওরা মূর্তি পূজারি তাই ওরা দোযখে যাবে আর আমরা যেহেতু মুসলমান তাই যতো পাপই করি সাজা ভোগের পর মাফসাফ চাইলে আর ঈমান নিয়া মারা গেলে আমাদের বেহেস্ত কনফার্ম । পরকালে অভিশপ্ত মালাউন মূর্তিপূজারিরা অনন্তকাল আগুনে পুড়বে, তখন আমরা মুসলিমরা জান্নাতে আনন্দ-ফুর্তি করমু। ওদের দুর্দশা দেখমু আর মজা নিমু। 
আরও ছোটবেলায়, আমাদের বাসার কাজে সাহায্য করার জন্য শরীফা নামে একজন মহিলা ছিলেন। ছোট থেইকাই আমি প্রচন্ড দুরন্ত ছিলাম। আম, জাম , সুপারি এমন কোনও গাছ বাদ ছিল না যে বাইতে পারতাম না। একদিন আমার ময়মনসিংহের বাসার গেটের সামনে থাকা ফজলি আমের গাছটায় উঠছি আর এমন সময় গাছের ডালে থাকা বেশ কয়টা পিঁপড়া কামড় দিল, ফুইলা লাল হয়ে গেলো হাত। কানতেছিলাম। তো বুয়া কান্না থামাইতেছে আর বলতেছে, আফুরে নিশ্চয়ই লাল লাল হিন্দু পিঁপড়া কামড়াইছে। হিন্দু পিঁপড়া খারাপ হয়। লালগুলা হিন্দু পিঁপড়া, ওগুলা কামড়ায়। লাল পিঁপড়া দেখলেই বুঝলা আফু হাত দিয়া টিইপা মাইরা ফেলবা। কালা পিঁপড়া মুসলমান পিঁপড়া, ওগুলা ভালো, কামড়ায় না। কালা পিঁপড়া মারন নাই, মারলে গুনাহ হইব। আমিও বুঝদার হওয়ার আগ পর্যন্ত এইটা বিশ্বাস কইরাই বড় হইছি, লালগুলা খারাপ পিঁপড়া, ওগুলা হিন্দু, তাই কামড় দেয়। কালো পিঁপড়া ভালো, মুসলমান পিঁপড়া তাই কামড়ায় না। 
এগুলা ছোটবেলার আলাপ। বড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ঘটনা, আমরা চার পাঁচজন ফ্রেন্ড মিইলা এক ফ্রেন্ডের মেছে গেছি। ওর রুমে বইসা এসাইনমেন্ট না কি যেন করতেছি ঠিক মনেও নাই এখন আর। আমাদের সেই ফ্রেন্ড মানে যার রুমে আমরা, সে হিন্দু । তার পড়ার টেবিলের ড্রয়ারে ছিল একটা ছোট সরস্বতীর মূর্তি। পড়ার ফাঁকে ওর টেবিল থেইকা কিছু বাইর করার সময়  গ্রুপের একজনের নজরে পড়লো বিষয়টা। তো একটু পর আমাদের সেই বন্ধু কিছু একটা কাজে রুমের বাইরে গেলো। ঠিক তখন আমাদের মধ্যে একজন উইঠা সরস্বতীর মূর্তিটা বাইর কইরা থুতু দিল। তারপর মুইছা ড্রয়ারে ঢুকায়া রাখলো আর গালি দিতে থাকলো সালা মালাউন, মূর্তি তারে পরীক্ষায় পাস করাইবো। যত্তোসব রুপকথার গল্প। 
আমার শুধু একবার মনে হইছিল বলি, মুহাম্মদ যে বোরাকে কইরা সাত আসমান পাড়ি দিয়া আল্লাহ্‌র সাথে দেখা কইরা আসলো এইটাও তার রুপকথা মনে হয় কিনা। কি মনে কইরা আর বললাম না। তাছাড়া অন্য পোলাপান সবাই মূর্তিটা থুতু দেয়ায় হাহাহিহি করতে লাগলো। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি এমনই হতবাক, কিছুই না বইলা শুধু সেখান থেকে চুপচাপ চইলা আসছিলাম মনে আছে। 
তাছাড়াও ছোটবেলা থেইকাই হিন্দুদের সম্পর্কে শুইনা আসতেছি, হিন্দুরা নাকি এই দেশে রাজার হালে থাকে। তবু তাদের এক ঠ্যাং থাকে ইন্ডিয়ায়। ইনফ্যাক্ট শিক্ষিত মডারেট মুসলমানের মুখেও প্রতিনিয়ত এসব শুইনা বড় হইছি। ইন্ডিয়ার মুসলমানেরা কতো নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়, অথচ বাংলাদেশের হিন্দুগুলা রাজার হালে থাইকাও বেইমানের বাচ্চা মালাউনগুলা এই দেশে ইন্ডিয়ার গুণগান গায়। 
নিজে মুসলিম সম্প্রদায়ের হওয়ার সুবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি এসব সীমাহীন ঘৃণা আর বর্ণবাদী আচরণ খুব কাছ থেকে দেখার দুর্ভাগ্য হইছে। অথচ যেসব বাঙালি মুসলিম এসব বইলা বেড়াইতেছে বা মনের গোপনে এইরকম তীব্র বিদ্বেষ নিয়া চলতেছে ওদের নিজের দেখা যায় বহু হিন্দু বন্ধু আছে, তাদের বাসায় যাইতাছে, খাইতাছে একসাথে , ঘুরতেছে একসাথে। সেই বন্ধুদের সামনে এক রুপ আবার ঐ বন্ধু যেই সামনে নাই শুরু হইয়া যায় মালাউন বইলা নিজেদের মধ্যে কুৎসা। আর ক্রিকেট ম্যাচে ইন্ডিয়া যদি বাংলাদেশের সাথে হাইরা যায়, তাহলে তো সমস্ত হায়া আর চোখের পর্দা ফালায়া মুখের উপর বইলাই ফেলে, সালা তোর মন খারাপ করার অভিনয় করা লাগতো না, তোর দেশই তো জিতছে। কী করুণ পরিহাস কল্পনা করা যায়, একজন লোকের জন্ম কর্ম  বিয়ে বাচ্চা মৃত্যু সব এই দেশে হওয়ার পরেও তারে প্রতিনিয়ত শুনতে হয় এইটা তার দেশ না- পাশের দেশ ইন্ডিয়া তার দেশ। কথায় কথায় হিন্দুদের লাত্থি মাইরা ইন্ডিয়া পাঠায়া দেয়া উচিৎ বইলাও পাশবিক মজা পায় বাঙালি মুসলমান। 
এইবার মুদ্রার অপর পিঠ দেখি। বাংলাদেশের হিন্দুদের সম্পর্কে বাঙালি মুসলমান যে মনোভাব পোষণ করে, ঠিক একই মনোভাব একজন ভারতীয় হিন্দু, সংখ্যালঘু ভারতীয় মুসলিমের প্রতি পোষণ করে। সাম্প্রদায়িকতার ধরণ এবং রঙগুলা সব দেশেই এক। একই রকম ঘৃণ্য একই রকম অমানবিক, একই রকম বর্বর।
পশ্চিমবঙ্গের এক সংখ্যালঘু মুসলিম মেয়ের গল্প শুনলাম। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরাও নাকি পাকিস্তান ইন্ডিয়ার খেলার সময় তারে বলে, আজ তো তুই পাকিস্তানের সাপোর্ট করবি তাই না? কিংবা ইন্ডিয়া পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তান জিইতা গেলে বলে , মন খারাপের নাটক করিস না , তোর দলই তো জিতছে। পশ্চিমবঙ্গের এই মুসলিম মেয়ের কাহিনী শোনার পরে ঘটনাগুলো খুব চেনা চেনা লাগে। মনে হয়, আরে, এগুলা তো আমি অন্য কোথাও শুনছি। আমাদের আশেপাশেই শুনছি। এই বাংলাদেশেই। আমার বন্ধুদের ভেতরেই। এইগুলা শোনার সময় ধারণা করা যায় ভারতীয় সংখ্যালঘু মুসলিমদেরও নি:শ্চই উনিশ থেকে বিশ দেখলে পাকিস্তান চালান কইরা দেয়ার হুমকিধামকি দেয়া হয়। ঠিক যেমনটা আমার বন্ধুমহলেও হইতো। একদম এক কাহিনী। খালি চরিত্রগুলা ভিন্ন। 
সম্প্রতি বাঙালি মুসলমান ইন্ডিয়ায় তাদের জাত ভাইয়ের উপর অত্যাচার হইতাছে দেইখা প্রতিবাদে ফাইটা পড়তেছেন। অথচ নিজ দেশে যখন প্রতি বছর পূজায় হিন্দুদের মন্দিরে ঢুইকা মূর্তি ভাঙা হয়, ঘরবাড়িতে আগুন দেয়া হয়। এরা তখন নীরব দর্শক। প্রতিবাদ তো দূর বেশিরভাগ মুসলমান যারা নিজেরে মোডারেট মুসলিম দাবী করে তারাও মনে মনে খুশী হয়, আমি হলফ কইরা বলতে পারি! হয়তো তারা মৌলবাদীগুলার মত মুখে স্বীকার করে না কিন্তু মনে মনে যে খুশী হয় জন্মের পর থেইকা এই বাঙালি মুসলমান সমাজের হিপোক্রেসি দেখতে দেখতে বাইড়া উঠার দরুণ সেইটা পঞ্চাশ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়া লেইখা দিতে পারি। তাছাড়া খুশী হবেই বা না কেন? প্রাইমারী স্কুল থেইকাই ধর্ম বইয়ে যে সাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা এরা পাইয়া আসতাছে, হিন্দুরা মূর্তিপূজারি, অভিশপ্ত  মালাউন। মুহাম্মদ কাবা ঘরের সমস্ত মুর্তি ভাইঙা দিয়া কাবা দখল করছিল , ইসলাম কায়েম করছিল। সেই কচি মনে যদি এসব সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢুকানো হয় বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেই বিষ জমতে জমতে যদি সাগরে রুপ নেয় এইটা কী আশ্চর্যের কিছু? বরং এমন হওয়াই তো স্বাভাবিক। 
তবু আমি বলবো ইন্ডিয়ায় তো আমির খান মুসলিম হইয়া হিন্দুদের দেবদেবী নিয়া স্যাটায়ার কইরা ছবি বানায় আবার সেই ছবি হিটও হয়, আমির খানও কল্লাখান নিয়া বহাল তবিয়তে থাকে। উল্টা সোনু নিগম হিন্দু হইয়া মাইকে আজানের উচ্চশব্দের কারণে শব্দদূষণ হওয়ার প্রতিবাদ করায় মুসলমান মৌলবাদীরা তার কল্লার দাম ঘোষণা করে। বাংলাদেশের কথা চিন্তা করেন তো? কোনও হিন্দু ইসলাম নিয়া স্যাটায়ার কইরা মুভি বানাইছে বাদ দেন, কোনও মুসলমানও যদি নিজ ধর্ম নিয়া এমন একটা সিনেমা বানায়, ধরে কল্লা আস্তা থাকবে কী? কিংবা সেই ছবি মুসলমানেরা মুক্তি দিতেই বা দিবে কিনা? আবার এইটাও চিন্তা করেন, কোনও হিন্দুর সাহস হবে দেবদেবীরে কোনও মুসলমান গালাগালি করলে এই 90% মুসলমানের দেশে বইসা সেই মুসলমানের কল্লার দাম ঘোষণা করার? তিতা সত্য হইল, এই বিশ্বে মুসলমান সম্প্রদায়ের মতন ঘৃণাচাষে এবং ঘৃণার ফলনে সমকক্ষ হওয়া অন্য কোনও ধর্মের লোকের পক্ষে সম্ভব না। 
না না, তাই বইলা আমি বলতেছি না ভারতীয় হিন্দুরা পরমসহিষ্ণু। আমার লিস্টেই অনেক চাড্ডি আছে ছুপা নাস্তিকের বেশে, যারা ইসলামরে দুইটা গালি দিলে কমেন্ট বক্সে বত্রিশ দাঁত বাইর কইরা সহমত ভাই বলতে চইলা আসে আবার তাদের ধর্মের সাম্প্রদায়িকতা ,  কিংবা মোদীর মতন একটা  ভয়ংকর মৌলবাদী সন্ত্রাসীর সমালোচনা করলেই বিচি পাইতা গালাগালির বিপ্লব চালাইতে চইলা আসে। ধর্মের আফিম আসলে সব জায়গায়ই ভয়ংকরভাবে আচ্ছন্ন কইরা রাখে মানুষরে। সেটা হিন্দু ধর্মই  হউক, আর ইসলামই হউক। ধার্মিক মানেই সাম্প্রদায়িক এই কথাটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। একজন ধর্মবিশ্বাসী যতো মোডারেট হওয়ারই চেষ্টা করুক তার পক্ষে পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক হওয়া সম্ভব না। তাই পৃথিবী যতো আধুনিক হবে, সভ্যতা যতো উন্নত হবে ধর্মগুলা আস্তে আস্তে একদিন বিলুপ্ত হবে।  আর যতোদিন তা বিলুপ্ত না হবে মোদীর মতন হায়েনারা , শেখ হাসিনার মতন ডিক্টেটররা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দ্যেশ্যে ধর্মের কার্ড ব্যবহার কইরা অশিক্ষিত জনগণকে নাকের সামনে মূলা ঝুলায়া গর্দভের মতন নাচাবে। 
এখন এক শ্রেণীর  বামাতি আর  হাফ কুকড প্রগতিশীল আইসা প্যানপ্যান করবে যে, রাজনীতিই ধর্মরে টিকায়া রাখছে। তাই আগে পলিটিকাল হউন। ধর্মকে যে পুঁজিবাদ বুর্জোয়াতন্ত্র  টিকায়া রাখতে ব্যবহার করতেছে কিংবা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য শাসক শ্রেণীই টিকায়া রাখছে সেটার সমালোচনা করেন। সেইসব  বাম বিপ্লবীদের কথা শুনলে আগে বিরক্ত লাগতো এখন এদের কথাবার্তা শুনলে সেফুদার মতন পাছায় ক্রসক্রস কইরা জালি বেতের বাড়ি দিতে মন চায়। 
পুঁজিবাদরে সব কিছুতে এরা কি আশ্চর্যজনকভাবে রিলেট করতে পারে তাদের এই অসীম ক্ষমতা দেখলে স্বয়ং মার্ক্সও কবর দেইখা উইঠা আইসা আবার কচু ক্ষেতে লটকায়া যাইবো। মার্ক্সেরই সরাসরি ধর্ম বিরোধী কথাবার্তার সংখ্যা ব্যাপক। প্রাসঙ্গিক ভাবেই মার্ক্সের  একটা বক্তব্য মনে পইড়া গেলো। মার্ক্স বলেছিলেন- “The first requisite for the happiness of the people is the abolition of religion”। যেই মার্ক্স নিজেই জার্মানি থেকে পলাইয়া ইংল্যান্ডে আশ্রয় নিছিলেন ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সেই মার্ক্সের অনুসারী আজকের বামাতিরা ভোটের  রাজনীতিতে টিইকা থাকতে গিরগিটির মতন রং পাল্টায়া এখন ধর্মতোষনে ব্যস্ত। কোনদিন জানি এই বামাতিগুলা নিজের জন্মের পিছনেও পুঁজিবাদী ষড়যন্ত্র খুঁইজা পায়। 
পুঁজিবাদ এবং রাজনীতি ধর্মরে টিকায়া রাখছে এইটা যেমন সত্য, তেমনই আপনি ধর্মান্ধ  দেইখাই, অশিক্ষিত এবং একচোখা দেইখাই , ধর্মের আফিম আপনারে আচ্ছন্ন কইরা নেশাগ্রস্থ বানায়া রাখছে দেইখাই বুর্জোয়াতন্ত্রই বলেন আর রাজনীতিই  বলেন আপনার সেই অন্ধত্ব, অশিক্ষা, অজ্ঞানতার সুযোগ নিয়া আপনারে পুতুল নাচ নাচাইতাছে। ধর্মগুলার অসাড়তা প্রমাণ করতে, ধর্মের বিষদাঁত উপড়ায়া ফেলতে তাই তীব্র আঘাত জরুরী। আঘাত যত তীব্র হবে ততো দ্রুত ধর্মগুলার অসারতা প্রমাণ হবে, তার সাথে পাল্লা দিয়া ধর্মরে ব্যবহার কইরা ট্রাম্প, মোদী , হাসিনার মতো কানিং  ডেভিল পলিটিশিয়ানদের মসনদে আরোহণ করার রাজনীতিরও অবসান হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *