গল্পটার নাম ছিলো ‘পানজুত’। একটা অদ্ভুত পিঁপড়ে। এই অদ্ভুতের রপকার আদিত্য আর আমি।
ভোরের কাগজের ইষ্টিকুটুম পাতায় ছাপা হয়েছিলো আমাদের এই খামখেয়ালি গল্প। আদিত্য কবীর ছিলো আমাদের দলের খামখেয়ালির রাজা- উড়নচন্ডীর বাহাদুর। তুখোড় মেধাবী এই রাজা-বাহাদুরকে আমরা ভালবাসতাম, সহ্য করতাম সব অনিয়ম। ভোরেরকাগজের বর্ষপূূতির সংকলন ‘টাগজ’এ আদিত্যই আমাকে নিয়ে লিখলো — এক যে ছিলো ভোরের কাগজের রাজকন্যা…। সেই থেকে দেখা হলে রাজকন্যার খবরের রাজত্ব জয়ের খবর নিয়েই ছেলেবেলার খুনসুঁটি তে মেতে উঠতো।
আহা! সেই অনিয়মের বাহাদুর নিয়ম ভেঙ্গে কর্পোরেট বাবু হয়েছিলো, সভ্য – শান্ত -লক্ষ্মী একটা বাবাও হয়েছিলো আমাদের আদিত্য।
আজ… এ নিমেষেই কেমন করে ‘আদিত্য’— ‘ছিলো’ হয়ে গেলো!
মেধায় জ্বলজ্বলে আদিত্য কি ‘ছিলো’ হয়!
ভাল থাকিস আদিত্য— আমার পানজুত পিঁপড়ের বন্ধু।