গান্ধী’কে কি কারণে শ্রদ্ধা বা সম্মান করবো??

ভারত

গান্ধী’কে কি কারণে শ্রদ্ধা বা সম্মান করবো??

১. গান্ধীজি দঃ আফ্রিকায় কোথায় চাকরী করতেন?
– আবদুল্লা নামে গুজরাটবাসী এক আরব ব্যবসায়ীর কাছে।

২. উনি কত বৎসর বয়সে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেন?
– মাত্র ৪৬ বৎসর বয়সে!

৩. উনি কি কখনও যুদ্ধ করেছিলেন?
– হ্যাঁ করেছিলেন তবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নয়, ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়ে গান্ধী তিন তিন বার যুদ্ধ ক্ষেত্রে সশরীরে হাজির ছিলেন এবং ব্রিটিশ সেনাদের সাহায্য করার জন্যে তিন তিন বার ব্রিটিশদের দ্বারা পুরস্কৃত হন। বুয়োর যুদ্ধ, জুলুর যুদ্ধ এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।

৪. ওনার ৪ পুত্রের মধ্যে কোন ছেলে স্বাধীনতা সংগামে যোগ দিয়েছিলেন?
– একজনও নয়। সবকটা ছেলেই অমানুষ তৈরী হয়েছিল, তাই তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্থান পায়নি, বড় ছেলে তো আবার কালেমা পড়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে কাটমোল্লা হয়ে করাচির রাজপথ দিয়ে নেত্য করে বেড়াত।

৫. স্বাধীনতা সংগ্রামে তার প্রথম ভূমিকা কি?
– ১৯২০ তে মুসলিম দুনিয়ার প্রধান খলিফাকে ক্ষমতা ফেরৎ দেওয়ার জন্য ইংরেজের বিরুদ্ধে এক আন্দোলন সংগঠিত করে, হাজার হাজার হিন্দু হত্যা ও ইসলামি করণ সফল করা।

৬. ওনার সর্বশেষ আন্দোলন কি?
– নিজের দেহের উপর দিয়ে দেশ ভাগের শপথ বিফল হওয়ার পর পাকিস্থানের দাবী অনুসারে বৎসরে ৮০ কোটি টাকা করে দেওয়া দাবীতে ভারত সরকারকে বাধ্য করতে অনশণে বসা।

৭. ওনার সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক কার্য্যকলাপ কি?
– কংগ্রেস দলকে নেতাজী মুক্ত করা, ভগৎ সিং ও অন্যান্য মুক্তিকামী সংগ্রামীদের ফাঁসিকে সমর্থন করে, অহিংসা আন্দোলনকে মহিমান্বিত করণ। দেশ ভাগের বিরোধীতা বা আরবদাসদের দ্বারা লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষ খুন, উৎখাতের বিরুদ্ধে একদিনও অনশনে না বসে উনি অহিংসা আন্দোলনের উৎকর্ষতা প্রমান করেছেন।

৮. গান্ধী কিভাবে ও কাদের সাহায্যে নেতা হয়ে উঠেছিলেন?
– গান্ধীখুড়ো ১৯১৫ সালে ভারতে ফিরল ৪৬ বছর বয়সে আর মাত্র ৬ বছরের মধ্যেই অবিসংবাদী নেতা হয়ে উঠলেন কংগ্রেসের!! পিছন থেকে ব্রিটিশদের সাহায্য না থাকলে তা অসম্ভব ছিল, কারণ ব্রিটিশ অক্টিভিয়াম হিউম সাহেবের নিজের হাতে তৈরী কংগ্রেস দলটা ব্রিটিশদের কাছে ছিল অনেকটা সেফটি ভাল্বের মত, যার গৌণ কাজ ছিল ভারতীয়দের নিয়ে ভারতীয়দের পক্ষে বিভিন্ন দাবী দাওয়া আদায় করা ব্রিটিশদের কাছ থেকে কিন্তু তলেতলে মুখ্য কাজই ছিল ভারতীয়দের দ্বারা তৈরী হওয়া ব্রিটিশ বিরোধী ক্ষোভের আগুনকে ও হিংসাত্মক আন্দোলনকে সীমিত ও স্তিমিত করে দেওয়া, আর তা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য কোনো ব্রিটিশ ইংরেজ নয় একটা ভারতীয় মুখ দরকার ছিল, আর সাউথ আফ্রিকার গান্ধীর মধ্যে সেই আপাত বিশ্বাসযোগ্য মুখটা খুঁজে পেয়েছিল ব্রিটিশ শাসকরা। যেই ভাবা সেই কাজ, এরপর গান্ধীকে অহিংসার পূজারী হিসেবে প্রজেক্ট ও প্রমোট করেছিল ইংরেজরা যাতে বিপ্লব ও সহিংস আন্দোলনের পরিবর্তে অহিংস আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ ও দমন করতে সুবিধে হয় তাদের।

সৌজন্যেঃ শ্রী সুব্রত রায়….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *