গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষার মাধ্যমে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন যে প্রক্রিয়ায়ঃ

Uncategorized

গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষার মাধ্যমে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন যে প্রক্রিয়ায়ঃ-
➡️ গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে প্রথমেই গুচ্ছ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
➡️ এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কমিটির সচিব মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলেন যে তারা এটাকে গুচ্ছ পদ্ধতি নয়, বরং জিএসটি বা জেনারেল অ্যান্ড সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পদ্ধতি বলছেন।
➡️ এই নম্বর পাওয়ার পর, প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদাভাবে নিজস্ব নিয়ম, বৈশিষ্ট্য এবং শর্ত উল্লেখ করে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দেবে।
➡️ এক্ষেত্রে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা শর্ত থাকে বলে জানানো হয়েছে।
➡️ উদাহরণ হিসেবে মি. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ২০১৯-২০ সালে যারা এইচএসসি পাস করেছে তাদেরকেই ভর্তির সুযোগ দেয়া হবে। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে যারা পাস করেছে তাদের সুযোগ দেয়া হবে না।
➡️ শিক্ষার্থীকে দেখতে হবে যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী তিনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যোগ্য, তা দেখে তাকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে।
➡️ তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অবশ্যই তাদের শর্তগুলো পূরণ হচ্ছে কি-না, সেটি খেয়াল রাখবে।
➡️ তিনি বলেন, গুচ্ছ পরীক্ষার নম্বর এবং এসএসসি ও এইচএসসি’র স্কোর মিলে যারা এগিয়ে থাকবেন, ভর্তির ক্ষেত্রে তারাই অগ্রাধিকার পাবেন।
➡️ তবে সব শর্ত মেনে একই বিভাগে বা বিষয়ে আসন সংখ্যার তুলনায় বেশি আবেদন জমা পড়লে কী করা হবে – এমন প্রশ্নে মি. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন যে এক্ষেত্রে একটি মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
➡️ “তবে এক্ষেত্রে আলাদা করে আর পরীক্ষা নেয়া হবে না,” বলেন তিনি।
➡️ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধা তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে গুচ্ছ পদ্ধতির নম্বর, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার নম্বর এবং বিভিন্ন বিষয়ে কি পরিমাণ নম্বর ওই শিক্ষার্থী পেয়েছে, সে বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হবে।
➡️ এভাবে তৈরি করা মেধা তালিকায় যারা শুরুর দিকে থাকবেন, তারাই সংশ্লিষ্ট ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন।
➡️ এ বিষয়ে তিনি বলেন যে অনেক বিষয়ে পড়তে গেলে নির্দিষ্ট বিষয়ে সর্বনিম্ন কত নম্বর পেতে হবে, তা অনেক ক্ষেত্রে উল্লেখ করে দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে কোন শিক্ষার্থীর মোট নম্বর বেশি থাকলেও যদি ওই নির্দিষ্ট বিষয়ে নির্ধারিত নম্বর না থাকে, তাহলে তিনি ওই বিষয়ে পড়তে পারবেন না।
➡️ অবশ্য এ বিষয়ে কিছুটা ভিন্ন মত দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং গুচ্ছভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির আরেকজন যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
➡️৷ তিনি বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষায় পাওয়া স্কোর এবং বিভিন্ন শর্ত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দেয়া ভর্তি বিজ্ঞাপন বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীরা যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন।
➡️ “একজন শিক্ষার্থী চাইলে এবং তার স্কোর ভাল থাকলে সে যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। আর স্কোর কম থাকলে পারবে না,” বিবিসি বাংলাকে বলেন অধ্যাপক আহমেদ।
➡️ একজন শিক্ষার্থী একই সাথে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়েও আবেদন করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
➡️ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উপাচার্য জানান, তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন একটি বিভাগে তাদের সব শর্ত পূরণ করে একই যোগ্যতা এবং স্কোর নিয়ে যদি আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেন, তাহলে তাদের সবাইকে ভর্তির সুযোগ দেয়া হবে।
➡️ “দরকার পড়লে আমরা আসন সংখ্যা বাড়িয়ে দিবো,” বলছিলেন তিনি।
➡️ চলতি বছর ২৩শে জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষার কথা জানায়। পরে ফেব্রুয়ারিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করবে।
✅ সমন্বিত /গুচ্ছ পদ্ধতির চূড়ান্ত মানবন্টন ও আবেদনের যোগ্যতা –
➡️ ইউনিট-০১ (বিজ্ঞান) – মান বন্টন
☞ পদার্থ -২০
☞ রসায়ন -২০
☞ জীববিজ্ঞান, উচ্চতর গনিত, আইসিটি এই ৩ টা হতে যেকোনো ২ টা উওর করতে হবে ৪০ নম্বর
☞ বাংলা -১০
☞ ইংরেজি -১০
➡️ ইউনিট-০২ (মানবিক) – মান বন্টন
☞ বাংলা -৪০
☞ ইংরেজি -৩৫
☞ আইসিটি -২৫
➡️ ইউনিট-০৩ (বানিজ্য ) – মান বন্টন
☞একাউন্টটিং – ২৫
☞বিজনেস ম্যানেজমেন্ট-২৫
☞আইসিটি -২৫
☞বাংলা – ১৩
☞ইংরেজি – ১২
➡️ এছাড়া বৈঠকে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মোট জিপিএর চতুর্থ বিষয় ছাড়া ৭। ব্যবসায় শিক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মোট জিপিএর চতুর্থ বিষয় ছাড়া সাড়ে ৬ এবং মানবিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মোট জিপিএর চতুর্থ বিষয় ছাড়া ৬।
➡️ তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে রাজি হয়নি।
➡️ কৃষি বিষয়ক ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছর স্নাতক শ্রেণিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাতেও সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
➡️ গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষায় ভালো করতে যে বইগুলো খুবই কার্যকরী হবে দেখে নাও!
তথ্য আসছে… সাথেই থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *