গোঁড়ালির ওপর পাজামা পরা টুপি দাড়িওয়ালা মৌলবাদিদের মাহফিল মাদ্রাসা মসজিদে দেখা যায়। শার্ট প্যান্ট পরা মৌলবাদিদের দেখা যায় সর্বত্র। এগুলো বেশি ভয়ঙ্কর। এরা কিন্তু নাস্তিকদের খুন করার পক্ষে ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলে। সাধারণ মানুষ এদের কথায় বেশি প্রভাবিত হয়। কারণ এরা মাদ্রাসার মৌলবাদিদের চেয়ে বেশি চালাক, এরা ভাল জানে শিক্ষিতদের কিভাবে মগজ ধোলাই করতে হয়।
এরা প্রায়ই মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া নাস্তিকদের বলে, ‘ওরা নাস্তিক হলে কথা ছিল, কিন্তু ওরা নাস্তিক নয়, ওরা ইসলাম বিদ্বেষী। ওরা অন্য ধর্ম সম্পর্কে কিছু বলে না, শুধু বলে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে।’ কিন্তু ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যা বলে, তা যে সত্য নয় তার প্রমাণ কেন এরা দেখায় না? দেখায় না, কারণ দেখাতে পারে না।
আসলে নাস্তিকরা সব ধর্মের সমালোচনাই করে, কিন্তু জন্ম থেকে মুসলিম সমাজে ইসলামের নিয়ম নীতির মধ্যে বড় হলে এই ধর্মটাকে বেশি জানে, বেশি জানে বলে সমালোচনা বেশি করে। যারা অভিযোগ করে ওরা ইসলাম বিদ্বেষী, নাস্তিক নয়, তারা এমন ভাব করে যেন নাস্তিক হলে ওদের ক্ষমা করে দিতে পারতো, অথবা নাস্তিকদের ইসলামের সমালোচনা তারা মাথা পেতে মেনে নেয়। নাস্তিক শব্দটিকে তারা কিন্তু জঘন্য গালি হিসেবে ব্যবহার করে। বাংলাদেশে তারা নাস্তিকদের কুপিয়ে মেরেছে।
ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের সমালোচনা কিন্তু মুসলিম পরিবারে জন্ম হওয়া নাস্তিকরা করে, কিন্তু সেগুলো দেখেও না দেখার ভান করে চালাক মৌলবাদিগুলো। প্রচার করে ”ওরা ইসলাম বিদ্বেষী”। যেন টুপি দাড়িওয়ালা মৌলবাদিরা মুন্ডু কাটার ছুরিতে নতুন উত্তেজনায় শান দিতে পারে।
আসলে তারা যা বলতে চায় তা হলো, যদি নাস্তিক হও, তাহলে ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের সমালোচনা করো। ইসলাম সমালোচনা সহ্য করে না, ইসলাম নিয়ে একটি কটু কথা বলবে তো গর্দান চলে যাবে। আল্লাহর নামে গর্দান কাটা এখন এদের কাছে ডালভাত।
এরা সমাজের কোনও বিবর্তন চায় না। সপ্তম শতাব্দির ইসলাম আর এর পুরোনো আইন কানুন নিয়ে এই একবিংশ শতাব্দিতে বসবাস করতে চায়। এই চাওয়াটাকে আগুনের মতো ছড়িয়ে দিতে যত না গোঁড়ালির ওপর পাজামা পরা মৌলবাদিরা পারে, তার চেয়ে বেশি পারে স্যুটেড বুটেড মৌলবাদি সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিক ইত্যাদিরা।