১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার ঘটনায় তাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আগে এই বিশিষ্টজনের নামের তালিকা দেখুনঃ
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন: আবদুল গাফ্ফার চৌধুরি, শামসুজ্জামান খান, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, সারোয়ার আলী, রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, আবদুস সেলিম, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, শফি আহমেদ, আবুল মোমেন, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সারা যাকের ও শিমূল ইউসুফ।
তালিকার একটি নামও প্রতি বছর দুর্গাপূজার সময় মূর্তি ভাংচুরের যে মচ্ছব হয় সেসব নিয়ে কখনো কোথাও একটি কথাও বলেননি। এর মধ্যে শামসুজ্জামান খান বাংলা একাডেমির প্রধান থাকার সময় বইমেলাকে ইসলামী মেলায় পরিনত করেছিলো। নাস্তিকদের বই প্রকাশের বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থান নেয়। বদ্বীপ প্রকাশনীর শামসুজ্জোহা মানিককে গ্রেফতার, প্রকাশনা বাতিল, রোদেলা প্রকাশনী স্টল বাতিল করা, শ্রাবণ প্রকাশনীকে স্টল না দিতে টালবাহানা সব কিছুই করেছিল হেফাজতের দাবী মত। উনি এখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদ করছে। বাকী বিবৃতিতে সাক্ষরকারীদের একজনও নাস্তিক লেখকদের হত্যার সময় প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে লেখালেখির স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেয়নি। ইসলামপন্থীদের হাতে বাউল শিল্পীরা যখন আক্রান্ত হয়েছিল তখনো এরা চুপ ছিলো। এখন যার নুন এতদিন পরোক্ষ প্রত্যক্ষ ভাবে এরা খেয়ে এসেছে তার বিপদের দিনে এরা বিবৃতি দিয়ে অবশ্য নিমক হালাল করে নিচ্ছে! ‘কুরআনের অপব্যাখ্যার’ অভিযোগ যেহেতু এরা করেছে তাই অবশ্যই বলা চলে কুরআন অনুসারে এরা মূর্তি বিরোধী! এরা কাফের অমুসলিমদের কুরআন নির্ধারিত সীমিত অধিকার ও মর্যাদায় বিশ্বাস করে? না হলে তারা ভাস্কর্য বিরোধিতাকে কুরআনের অপব্যাখ্যা বলছে কেন? যদি কথিত ভাস্কর্যকে কুরআন সম্মত প্রমাণ করা যায় তাহলে ইসলামের জানি শত্রু মূর্তির কি হবে? বাংলাদেশে মূর্তিগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে অবশ্য তাদের কিছু যায় আসে না!