এটাকেই বলে ধুর্ততার ইকোসিস্টেম।
ঘুম অপেক্ষা নমাজ ভাল
গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল ভাল।
স্বামীজি ঠিক কোন প্রেক্ষিতে গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল ভাল বলেছিলেন, সেই প্রসঙ্গে অনেক ব্যখ্যা আছে। কিন্তু এরা কখনও প্রেক্ষিতটা আলোচনা করে না।
তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম যে গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল ভাল, তাহলে ঘুমের অপেক্ষা নামাজ ভাল কেন? অ্যাট লিস্ট, গীতাপাঠ ও ফুটবলের মধ্যে কোন বৈরিতা নেই, কিন্তু একটা অপব্যখ্যা দুটো আনরিলেটেড জিনিষের মধ্যে লড়াই বাঁধিয়ে দেয়।
কিন্তু ঘুমের তুলনায় নমাজ ভাল কোন যুক্তিতে? ঘুম আর নামাজের মধ্যে তো একটা ডাইরেক্ট বৈরিতা আছে। একপক্ষের ভাবানুভুতিতে আঘাত করে কি যত্নে অন্যের ভাবানুভুতিকে আগলে রাখা। শুয়োরের চাব্বাদের এই ন্যারেটিভের কাছে আমরা বার বার হেরে যাই ।
প্রসঙ্গত স্বর্গীয় রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য সান্যালের কথা মনে পড়ে গেল । মৃত্যুর কিছুদিন আগে কার্বাঙ্কলের যন্ত্রনায় ভুগছিলেন ভদ্রলোক। একদিন দু:খ করে ফেসবুকে লিখেছিলেন, সকালে ফেরিওয়ালাদের আওয়াজে ঘুম আসে না, বিরক্তিকর।
ঠিক কত সকালে রামকৃষ্ণ বাবুর বাড়ির সামনে ফেরিওয়ালারা আসত জানা নেই, তবে আরও সকালে রামবাবুর ঘরে মাইকের আওয়াজ বেয়ে আরও কিছু আওয়াজ আসত। কিন্তু জীবদ্দশায় রামবাবু কখনও তার উল্লেখ করেন নি। বুদ্ধিমান লোক, জানতেন ওসব অলুক্ষুনে কথা বললে শান্তির ছেলেরা কবেই কার্বাঙ্কলটা ফাটিয়ে দিত।
ওই যে বললাম, শুয়োরের চাব্বাদের ন্যারেটিভে আমরা বার বার হেরে যাই ।