শুক্রবার চট্টগ্রামের প্রবর্তক সংঘের জমিতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সংগীত শিক্ষালয় “সংগীত ভবন”-এর কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। আমরা প্রচার মাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছি প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে হামলার সময় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
কিছু দিন আগে বাউল আব্দুল করিমের শিষ্য রণেশ ঠাকুরের সংগীত শিক্ষার ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বাউল রণেশ ঠাকুরের ঘরের সাথে সাথে পুড়ে যায় সংগ্রহে থাকা বাদ্যযন্ত্রগুলো।
দুটি ঘটনাই অত্যন্ত জঘন্য, নিন্দাজনক। দুটি ঘটনার পেছনের মানুষদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।
কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করলে দেখতে পাওয়া যায় যে, দুটি ঘটনার পেছনের দুটি দলের মধ্যে একদল সংগীত ভালোবাসে কিন্তু সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসে না। রাগ বা ক্ষোভ সংগীতের বিরুদ্ধে নয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। আরেক দল সংগীতকে ঘৃণা করে। শেষের দলটি সংগীতকে পৃথিবী থেকে বিদায় জানাতে চায়, বাদ্যযন্ত্রগুলো ভেঙ্গে ফেলতে চায় কারণ তাঁরা সংগীতকে ঘৃণা করে, বাদ্যযন্ত্রের সুরকে ঘৃণা করে। বাউল বা শিল্পীদের ধ্বংস কামনা করে তাঁদের মৃত্যু হলে সমবেদনা পর্যন্ত জানাতে চায় না।
এ মানুষগুলো শুধু নিজে সংগীতকে অপছন্দ করেই শান্ত থাকে না অন্যদেরও সংগীতকে ঘৃণা করতে উৎসাহিত করে। এরা গান বাজনা ধ্বংসের জন্য জনমত ঘঠন করে এবং সময় বুঝে দলগত আক্রমণ করে বাউলদের বসতবাড়ি ভেঙ্গে দেয়, বাদ্যযন্ত্র ভেঙ্গে দেয়, পুড়িয়ে দেয় এমনকি প্রাণও সংহার করতেও পিছপা হয় না।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যুগে যুগে এ দলের মানুষগুলো বদলে গেলেও চরিত্র একই থাকে। আর নাটক, নভেল, সিনেমাও প্রকাশ পেতে থাকে।

মিন্টু ভদ্র