চাপাবাজ বাঙালীর চাপাবাজির কিছু উদাহরণ।

Uncategorized

চাপাবাজ বাঙালীর চাপাবাজির কিছু উদাহরণ।

** অর্থই অনর্থের মূলে।

ঠিক আছে, তোর যা আছে অন্যকে দিয়ে তুই অনর্থ-শূন্য থাক্‌। ঝামেলা শেষ।

** গ্রামেই শান্তি, আহা কি মুক্ত বাতাস। আহা ধান খেত আর সবুজে ঘেরা।

আজই শহরের বাড়ি বিক্রি করে, গ্রামে চলে যা। মাছ ধরবি, ধান ফলাবি আর সবুজে সবুজে একেবারে “সবুজ মিয়া” হয়ে যাবি।

**মনে সুখ থাকলে, পাটকাঠির ঘরেও সুনিদ্রা আসে।

কত মানুষ ফুটপাতে ঘুমায়। তোর নিজের বাড়িটা জনকল্যাণে দান করে, পাটকাঠির ঘরে নিদ্রা যা। কেউ বারণ করতে আসবে না।

** মরলে কেউ দু-পয়সা সাথে করে নিতে পারে না।

ঠিক আছে। এখন থেকে পেটে ভাতে কাজ করা শুরু কর। কিছু যখন সাথেই যাবে না, বাড়তি টেনশনের কি দরকার? তোর তো সামান্য ভাত-কাপড় হলেই যথেষ্ট।

**বাক্‌-স্বাধীনতায় আঘাত দেয় অমানুষ। বড় মনের মানুষ তা করে না।

তোর মেয়ে আর ভাগ্নিকে অমুকে বলেছে, রেপ করবে। বাক্‌-স্বাধীনতা ঠিক আছে না?

** আমাকে ৫০/১০০ কোটি টাকা দিলেও এ কাজ করব না।

তুই কি করে বুঝলি করবি না? কেউ তোকে এত টাকা অফার করেছে কোনোদিন? তুই তো পরীক্ষা না দিয়েই পাশ।

** পৃথিবীটা একটা হেল। তাড়াতাড়ি চলে যেতে পারলেই ভালো।

এই নে বিষের বোতল। একদম অরিজিনাল। এক ডোজে-ই খতম।

** পরীর মতো সুন্দরী।

পরীর ঠিকানা কি? কোথায় থাকে?

** মরার পর আর জাত-পাত থাকে না।

এই গোলামের পুত, অভিজাত শ্রেণির পাশে রিক্সাওয়ালা বা মজুরের দাফন বা শ্মশান হয়,  না কি আলাদা আলাদা? না জানার কি কারণ? তোর নিবাস কোথায়, চাঁদের দেশে?

এ রকমের অনেক চাপাবাজি, শুধু কানের গোড়াতে ঠিকমতো না পড়ার কারণে অপ্রতিরোধ্যভাবে বেড়েই চলেছে।

অসিত রায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *