১৬ বছর বয়সে ক্লাসমেট মেয়েদের কাছে যখন শত প্রেমের অফার আসে তখন ছেলেদের জাস্টবন্ধু হবার মতোও কেউ জুটে না।
১৮বছর বয়সে ক্লাসমেট মেয়েরা বিয়ের যোগ্য হলেও ছেলেরা বাল্যকালের উপাধি পায়।
২০ বছর বয়সে একটা রিলেশনশিপের জন্য কি অধীর আকুলতা অথচ ক্লাসমেট মেয়েরা হাসতে হাসতে তার সামনেই ৫ বছর সিনিয়র ভাইয়ের প্রশংসা করে।
২২ বছর বয়সে যখন বান্ধবিদের বিয়ের সিরিয়াল চলতে থাকে তখনো সমাজ ছেলেদের বলে অনার্স এর “বাচ্চা ছেলে”!
২৪ বছরে মেয়েরা যখন পড়াশুনা প্রায় ক্ষ্যান্ত দিতে যাচ্ছে তখন ছেলেটার যেন যুদ্ধ শুরু!
নেশাগ্রস্ত হতাশাগ্রস্ত যাই হোক না কেন, যে ছেলেটার নিজেরই চালচুলো নেই তাঁকেও যেন বহুবার ভাবতে হয় ইনকাম না করলে বিয়ে হবে না তাঁকেও দায়িত্ব নিতে হবে, সংসার, বউ, বাচ্চার!
নীরব কান্নায় কাউকে খুঁজে না পেলেও একটা কথা সমাজ, আত্নীয়স্বজন, পরিবার ঠিকই মনে করিয়ে দিবে- “ছেলে কি করে? প্রতিষ্ঠিত তো?”
“অনার্স মাস্টার্স শেষ মেয়েটার জন্য শত বিয়ের অপশন পরিবার দিলেও, ছেলেটার সামনে একটাই অপশন , “কিরে আর কবে চাকরি পাবি!”
বিশ্ববিদ্যালয়েরর অাগুন ঝরা দিনগুলোতে প্রফেসর লেকচারে বলতেন-
“ভালোবাসা,বিয়ে”
এগুলো ভগবানের হাতে, এটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করবে না” অথচ, তিনিও মেয়ের জন্য সরকারি চাকরিওয়ালা ছেলে চান।
চাকরি করে ভাইবোনদের সেটেল করতে বা বাবার হাতকে শক্তিশালী করে ঘরবাড়ি একটু সাজাতে বয়স পেরিয়ে যায়, ছেলেটার খেয়াল থাকে না।
এতদিন পরে একটু স্বচ্ছল! সুন্দরি মেয়ে খুঁজলেও যেন অনেকেই বলে-
এই, বুইড়া ব্যাটা সম্পদলোভী, সারাজীবন টাকার পিছে ছুটছে, আবার এই বুইড়া বয়সে অল্প বয়স্ক মেয়েও খুঁজে!”
বিয়ের পর-
পরিবার আর বাচ্চাদের কথা ভেবেই পাড়ি দেয় বিদেশে একা!
কিংবা সন্তানের শহরের স্কুল কলেজের কথা ভেবে নিজেই একা মেসে থাকে। হয়তো পরিবার থেকে চাকরিস্থল অনেক দূরে
কাজের মাসির রান্না, একাকী বিষণ্ণতা আর কোনো জেলা/উপজেলায় পাক্ষিক-মাসিক জার্নি করতে করতে কখন হাড় ক্ষয় হয়, ডায়াবেটিস বাঁধে খেয়ালও থাকে না।
বাবা,মার মুখ উজ্জ্বল করতে যে ছেলেটার ছোটবেলায় স্বপ্ন শুরু, সংগ্রামের যৌবনকাল আর শেষবয়সে এসেও সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে যুদ্ধ যেন আর শেষ হয় না। তবুও এই সমাজ বলে-
“আহ !
ছেলেরা কত স্বাধীন !
এতো কিছু করার পরও
মেয়েরা বলে “ছেলেরা ভালবাসতে জানে না”
#সংগ্রহীত