জন্মদিন পালন নিয়ে দুটি কথা।
স্বামী রঙ্গনাথানন্দের ‘ভগবদ্ গীতা ও বিশ্বজনীন বার্তা’ পড়ছি। দিনাজপুর থেকে জয়ন্ত তিন খন্ডের বইটি দিয়েছিল। চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিটি শ্লোককে তিনি বিশ্লেষন করেছেন। সেখানে জন্মদিন পালন নিয়ে কিছু কথা লিখেছেন, যা আমাকে আকৃষ্ট করেছে।
জন্মদিন পালন আমাদের আমদানি করা সংস্কৃতি। মোমবাতি নিভানো এবং কেক কাটা হচ্ছে মূল অনুষ্ঠান।
মোমবাতি নিভানো নিয়েই আপত্তি।
যারা এ সংস্কৃতি চালু করেছেন, তাদের কাছে আলো নিভিয়ে ফেলার কোন তাৎপর্য নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু বৈদিক সংস্কৃতিতো আলোকিত করার সংস্কৃতি। আমাদের সকল অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বালানো অপরিহার্য।
ঈশ্বরের কাছে আমাদের চিরকালীন প্রার্থনা,
‘তমসো মা জ্যোতির্গময়’!!!
কি অসাধারণ আকুতি!!
সেখানে আমরা জন্মদিনের মত এক মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে আলো নিভিয়ে অন্ধকারের পথে যাত্রা করি!!
অন্ধ অনুকরনের ফল হচ্ছে, না বুঝে অন্ধকার যাত্রা।
যারা আমার এ অনুভূতির সাথে একমত, তাদেরকে অনুরোধ করছি, আসুন, জন্মদিনে আলো নিভানোর সংস্কৃতির পরিবর্তে আলো জ্বালিয়ে আমরা শুভেচ্ছা জানানোর সংস্কৃতি চালু করি ।
আমাদের প্রার্থনা হোক, ‘ হে ঈশ্বর, আমাদের নিরন্তর যাত্রা হোক আলোর পথে! তুমিই সকল জ্যোতির জ্যোতি। ক্ষুদ্র দীপালোক থেকে আমাদের দৃশ্যপথের সবর্বৃহৎ আলোর উৎস সূর্য, সবই তোমার প্রকাশ! আমরা যার জন্মদিনের শুভক্ষণকে স্মরন করছি, তুমি তার জীবন থেকে সকল অন্ধকার দূর কর। তোমার দ্যুতিতে তার জীবন দ্যুতিময় হোক। মঙ্গলের পথে, কল্যাণের পথে, আলোর পথে, সর্বোপরি তোমার পথে তার নিরন্তর যাত্রা হোক।
অসত্য থেকে সত্যে, অন্ধকার থেকে আলোতে, মৃত্যু থেকে অমরত্বে, তোমারই উদ্দেশে আমাদের নিরন্তর যাত্রা হোক!
জগতের কল্যাণ হোক!!! ‘
করোনার এই তৃতীয় ঢেউয়ে ভাল থাকুন, সাবধানে থাকুন।
শুভ কামনা নিরন্তর।
লেখা: দেবদাস ভট্টাচার্য