জীবনানন্দ এবং আমি – শুধাংশু শেখর বর্মণ

Uncategorized

জীবনানন্দ এবং আমি
শুধাংশু শেখর বর্মণ

ঝরাপাতার মতো বুকে ব্যথা নিয়ে শুয়ে ছিলে পথে
কেঁদেছিলে নীরবে চুপে চুপে
ইট পাথরের দাপাদাপি নাভিশ্বাস চারদিকে আজ।
আমিও কাঁদি। তবে তা পাথরের স্তুপে।

নিকষ কালো অন্ধকারে শাদা ম্লান জোছনা ফেলে
খুজে ফিরতে যখন প্রিয় বনলতা মুখ
আমি নিয়ন সোডিয়াম আলোচ্ছটায় বিভ্রান্ত তখন
অপূর্ণ আশা বুকে চেপে নির্বাক উন্মুখ।

কোকিলের কুহু ডাকে চমকে যেতে হঠাৎই যখন
ভাবতে কোন বিরহী কাঁদছে একা?
আমি তখন বাসস্ট্যান্ডে থমকে দাঁড়াই অপেক্ষা
আজ কেউ করে না; শব্দটাই মরিচীকা।

শ্রাবণের অঝোর ধারায় মেশাতে নিজের শ্রাবণ
মেঘের ভাঁজে ভাঁজে গুজে দিতে ব্যথা
সিগারেটের ধোঁয়ায় আজ উড়ায় ফেলে আসা স্মৃতি
ওসব পাসকরা টাইম! কিসের বিয়োগগাঁথা!

জীবনানন্দ! আজ জীবন নেই! শুধু আনন্দ ক্ষণিকের
অনুভূতি নেই; শুধু উৎসব ফরমালিটি।
এতোসব আয়োজনে ক্লান্ত আমি আজ ফুলদানিতে
রাখা কাগুজে ফুল; ঘ্রাণ নেই শুধু পরিপাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *