জ্ঞান আকারে ধর্ম বনাম ধর্মের ঐশ্বরিকতা

Uncategorized

জ্ঞান আকারে ধর্ম বনাম ধর্মের ঐশ্বরিকতা
———————————–

ধর্ম ধারণারে যখন আপনে মানোবীয় জ্ঞান আকারে নেন তখন ভালো ও খারাপের মিশ্রণকে আপনে মেনে নিয়ে ভালোটা গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু যখন আপনে ধর্মকে পরম সত্য বলে ধরে নিবেন তখন আপনের আর যাচাই বাছইয়ের ক্ষমতা থাকে না। ইভেন আপনের আর ধর্ম প্রশ্নের ভালো মন্দ বিচারের ক্ষমতাও থাকে না। এটা আপনের মানোবীয় ন্যাচারের অন্তর্গত। ইন্টারনালি ধর্ম বিশ্বাস আপনের এ ক্ষমতাকে লোপ করে দেয়।

যখন আপনে ধর্মকে ঐশ্বরিক সত্য হিসাবে ধরে নেন, তখন এর একটা অসঙ্গতিই যথেষ্ঠ এটার ঐশ্বরিকতা খারিজ বা বাতিল করে দেয়ার জন্য। একজন রেশনালিষ্ট জাস্ট একাজটিই করতে চান। তিনি ধর্মটাকে আপনের মধ্যে ঐশ্বরিক সত্যতার স্থান থেকে মানুষের তৈরীকৃত ধারণা আকারে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

ধর্মকে আপনে জ্ঞান আকারে নিলে আপনে আপনের জন্য ইচ্ছেমত নীতি বাছাই করে নিতে পারবেন। ধর্ম যেটাকে যুক্তিহীনভাবে নিষেধ করে রেখেছে তাও আপনে নিজের সাপেক্ষে ভালো মন্দ বিচার করে নিজের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। একই ভাবে ধর্ম যেটারে আপনের জন্য বৈধ করে রেখেছে তার অপকারিতা বিচার করে আপনে তা নিজের জন্য নিষিদ্ধ করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *