ঝালকাঠিতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় (হত্যাকাণ্ডে)নাবিক তথা চালক ও সকল স্টাফরা কাপুরুষতার পরিচয় দিয়েছে এবং মানুষ হত্যার জন্য তারা দায়ী ।
RAB এর ব্রিফিং: ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন লাগলে লঞ্চের ম্যানেজার মালিককে ফোনে জানায় । পরবর্তীতে তারা দ্রুত লঞ্চটি এক নদীর পাড়ে নিয়ে যায় । সেখানে লঞ্চের চালকসহ সকল স্টাফ লঞ্চ থেকে নেমে যায় । তখন যেসব যাত্রী কেবল তিনটা পর্যন্ত সজাগ ছিলো তাদেরও কেউ কেউ নেমে পড়ে । বাকি সবাই ঘুমিয়ে ছিলো
লঞ্চের সকল স্টাফ লঞ্চ পাড়ে ভিড়িয়ে চালকসহ স্টাফ নেমে গেলেও তারা যাত্রীদের না জাগিয়ে এমনকি লঞ্চ নোঙর না করায় অর্থাত্ না বাধায় লঞ্চটি স্রোতে আবার ভাসতে ভাসতে মাঝ নদীতে চলে যায় । তারও ৪৫ মিনিট পর আবার স্রোতে নদীর অপর পাড়ে যায় । আর এতোক্ষণ সময়ের ভিতরে সম্পূর্ণ লঞ্চে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ।
তাছাড়া মালিককে যখন জানানো হয়েছিল সে তখন কাউকে জানায়নি । সে চাইলেই আইন শৃংখলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসকে জানাতে পারতো কিন্তু জানায়নি । এবং জাহাজটিতে যথাযথ সেফটি সরঞ্জাম ছিলো না । লঞ্চটিতে ১১০০ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন লাগানোর অনুমোদন থাকলেও মালিক ১৪৪০ পাওয়ারের ইঞ্জিন ব্যবহার করেছিল । মূলত অনিয়ম ঢাকার জন্যই সে হয়তো যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি ।
এখন পর্যন্ত মৃত ৪৪ নিখোজ ৮১ জনের মতো । আর এধরনের লঞ্চে হাজারের মতো মানুষ থাকে কিন্ত হিসেব দেখালো ৩০০ তা সত্য নয় । ব্যাপক প্রাণহানি তথা হত্যাকাণ্ড হয়েছে । এসব মানুষের হত্যাকাণ্ডের জন্য চালক ও সকল স্টাফ দায়ী । কি করে তারা যাত্রীদের রেখে সবাইকে না জানিয়ে লঞ্চ থেকে নেমে গেলো!!! আর নেমে গেলেও লঞ্চটি যদি পাড়ে বেধে রাখতো তাহলে অনেকেই নেমে যেতে পাড়তো । এবং পাড়ে যখন ভিড়িয়েছিলো তখন সবাইকে জাগিয়ে লঞ্চ থেকে নামাতে পাড়তো । তা না করে তারা হত্যাই করেছে । প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই ।
এককথায় চালক, স্টাফরা সবাই হত্যাকারী, কাপুরুষ । এবং মালিকও তাই সে তার অব্যবস্থাপনা লুকানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস ও আইন শৃংখলা বাহিনীকে জানায়নি । সবগুলোর ফাসি চাই ।
এটা দুর্ঘটনা নয় হত্যাকাণ্ড । শুরুতেই যখন লঞ্চটি নদীর তীরে এনেছিলো তখন সবাইকে জাগিয়ে দিলে, লঞ্চটি পাড়ে নোঙর করে রাখলে এতো মানুষ হয়তো মারা যেতো না ।