দীপাবলি, আলোর উৎসব, না ঘরে ফেরার শপথ?
আজ দীপাবলির আগের দিন, কাল দীপাবলি। দীপাবলি অর্থাৎ, পুরো ভারতের তথা সারা বিশ্বের সমস্ত হিন্দুর কাছে বছরের এটি একটি অত্যান্ত তাৎপর্য্যপুর্ন অনুষ্ঠান হিসেবে মানা হয়। হিন্দুদের মাঝে যতই ভেদাভেদ থাকুক না কেন, তারা দুনিয়ার যে কোন কোনেই থাকুন না কেন … অবশ্যই এই দিনটিকে সাড়ম্বরে মানেন, … পালন করেন। আর আমাদের বাংলায় তো দীপাবলির পাশাপাশি কালীপূজাও হয়, ফলে অত্যান্ত ধূমধামের সঙ্গেই তা পালিত হয়ে থাকে। সবাই অপেক্ষা করে থাকেন যে, ঘর এবং গৃহস্থের পরিবারের সমস্থ লোক যেন এই দিনটিতে অন্তত একসঙ্গে থাকতে পারেন। দীপাবলির বা দেওয়ালীর রাতে পরিবারের কোন সদস্য বা ব্যক্তি, যতই জরুরী কাজ থাকুক না কেন, তারা যেন কিছুতেই বাড়ীর বাইরে না থেকে বাড়িতেই থাকেন। এছাড়াও দীপাবলির রাতে আমরা সকল মতধারার হিন্দু আমাদের ঘরবাড়ী, এলাকা, পাড়া বা মহল্লা প্রদীপের নরম আলোয় সাজিয়ে রাখি …।
এর কারন কি? কেনই বা এমন করা হয়??
এটা জানাবার আগে, আমি বিশ্বের সমস্থ হিন্দুকে শুভ দীপাবলি উপলক্ষে অভিনন্দন জানাতে চাই। জানাতে চাই শুভেচ্ছা আর আন্তরিক প্রীতি ও ভালোবাসা। শুভেচ্ছা জানাবার পাশাপাশি মা কালি যেন সকলকে শান্তি দেন, সুখে রাখেন, … এই হার্দিক প্রার্থনাও জানাই। তিনি যেন আমাদের সকলকে সাহস, শক্তি ও সক্রিয়তা প্রদান করেন, এই কামনা করি।
বন্ধুরা, এই দেওয়ালীর একটি বিশেষ তাৎপর্য্য আছে। এই দেওয়ালী মানে, ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের ঘরে ফেরার দিন। এই জন্যেই আমরা দেওয়ালী পালন করে থাকি। আজ থেকে কম করে প্রায় ৪ হাজার বছর আগে যখন রামায়নের ঘটনা ঘটেছিল, যখন প্রভু রামচন্দ্র এই পৃথিবীর মাটিতে অবতীর্ন হয়েছিলেন; এবং লঙ্কার রাজা রাবন’কে বধ করে যে সময় অযোধ্যায় ফিরে আসছিলেন, সেই ফেরাকে উপলক্ষ করে অযোধ্যাবাসী এই দীপাবলি বা দ্বীপান্বিতা উৎসব পালন করেছিলেন। অর্থাৎ পুরো অযোধ্যা নগরীকে তারা প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে ছিলেন।
তাহলে এর পিছনে কারন কি ছিল?
পিতার সত্যরক্ষা করতে গিয়ে শ্রী রামচন্দ্রকে সীতা মা এবং ভাই লক্ষণ’কে নিয়ে একাদিক্রমে ১৪ বছর বনে জঙ্গলে কাটাতে হয়। এর মধ্যেই তার স্ত্রী, সীতা মা’য়ের অপহরণ হয়। দুষ্ট রাবণ তাকে অপহরণ করেন। সেই সীতা’কে মুক্ত করে এবং রাবণ’কে ধ্বংস করে যখন লড়াই সমাপ্ত হল, তখন লঙ্কায় যে ক’জন রাক্ষস বেঁচে ছিলেন, তারা বিভীষণের নেতৃত্বে প্রভু রামের শরণাপন্ন হলেন এবং তাঁর কাছে পার্থনা জানালেন, … “প্রভু, আমাদের রাজা রাবণ মারা গেছেন। এখন আমাদের কোন রাজা বা অভিভাবক নেই। এই জন্য বরং প্রভু আপনি এখানেই থেকে যান, এবং লঙ্কায় রাজত্ব করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক হন”।
– এই শুনে লক্ষণের মনও যেন কিছুটা বিচলিত হয়ে উঠল। তিনিও রামকে বললেন যে, .. “দাদা, আমরা তো ১৪বছর ঘরছাড়া তথা অযোধ্যার বাইরে। আমাদের মধ্যম ভ্রাতা ভরত সেখানে রাজত্ব করছেন। এখন বলা যায় না, – এত বছর পর অযোধ্যা ফিরে গেলে তার আবার মনের কোন পরিবর্তন হয় কিনা? তিনি যদি আবার বেঁকে বসেন, বা রাজ্য ফেরত দিতে না চান, … তবে তো আমাদের আবার লড়তে হতে পারে। কিন্তু এই লঙ্কা সোনার। (আপনারা জানেন যে, রাবণ ত্রিভুবন লুঠ করে এনে লঙ্কাকে সোনা দিয়ে মুড়ে দিয়েছিলেন।)। এখন যেহেতু এখানের রাক্ষসেরা এবং স্বয়ং বিভীষণ চাইছেন যে, আমরা এখানেই থেকে যাই, … আর আমাদের সঙ্গে যখন সীতা মা রয়েছেনই, তো … আমরা না কেন এখানেই থেকে যাই। এখানেই রাজত্ব করি”।
– ঠিক সেই সময়, লক্ষ্মণ’জীর এই কথার জবাবে রাম’জী যে জবাব দিয়েছিলেন, মনুষ্য জাতীর ইতিহাসে তাই হয়তো রাষ্ট্রভক্তি তথা দেশ ভক্তি’র সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ স্বরূপ আজও সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, .. “অতি সুখময়ী লঙ্কে হে লক্ষ্মণ ন মে রোচতে, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী”। – অর্থাৎ, “হে ভাই লক্ষ্মণ হোক না এই লঙ্কা সোনা দিয়ে তৈরি, কিন্তু এতে আমার বিন্দুমাত্র রুচি নেই। এখানে আমার মনও বসে না। কারন, আমার কাছে আমার জননী, জন্মভূমি, আমার মা – মাতৃভূমী যা স্বর্গের থেকেও শ্রেষ্ঠ বলে আমি মনে করি। সেই জন্য আমি আমার জন্মভূমি অয্যোধ্যাতেই ফিরে যাব”। এবং শুধু তাই নয়, অয্যোধ্যা ফিরে আসার জন্য রাম তখন এতটাই উতলা যে, একমুহুর্তও তিনি আর সেখানে থাকতে চান নি। এমনকি কোন পঞ্জিকা দেখে শুভ তিথির অপেক্ষাও করেন নি তিনি। এই জন্য যখন শ্রী রামচন্দ্র লঙ্কার সব কাজ মিটিয়ে বিভীষণের হাতে সে রাজ্যের ভার তুলে দিলেন এবং রাবণের পুষ্পক রথে চেপে অয্যোধ্যা ফিরে এলেন, ঘটনাচক্রে সেদিন ছিল অমাবস্যা, আঁধারের রাত। এখন অয্যোধ্যাবাসী ভাবলেন যে, ১৪ বছর পর আমাদের ঘরের ছেলে আবার ঘরে ফিরে আসছেন। আমাদের যোগ্য এবং শ্রেষ্ঠ যুবরাজ আজ এত বছর পরে যখন ফিরে আসছেন, ..আর সেদিনই কি না অন্ধকার? এ – অয্যোধ্যাবাসীদের বরদাস্ত হল না, এই জন্য তারা সমগ্র অয্যোধ্যা নগরীকে প্রদীপ দিয়ে সাজালেন। তা জ্বালিয়ে চারিদিকে করে তুললেন আলোয় আলোয় আলোকময়। এবং সেই আলোর মধ্যে দিয়েই পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্র অয্যোধ্যায় প্রত্যাবর্তন করলেন। তিনি এসে দেখলেন যে, … সমস্ত অযোধ্যাবাসীর ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বলছে। চারিদিক আলোয় উদ্ভাসিত, তার মধ্যেই লোকজন অত্যান্ত আনন্দ ও উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গেই দিনটি পালন করছেন। এই ভাবেই শ্রী রামের ঘরে ফেরার আনন্দেই অযোধ্যার লোকেরা যে প্রদীপ জ্বালিয়ে চতুর্দিক আলোকিত করেছিলেন, সেই দিন থেকেই এই দীপাবলির পরম্পরা আমাদের হিন্দু সমাজে শুরু হয়েছিল। এই হল হিন্দুধর্মে দীপাবলি বা দেওয়ালী’র প্রচলনের মূল ইতিহাস। এবং পরবর্তী কালে ভারতের সমস্ত হিন্দু … তথা বিবিধ মতভেদের হিন্দু এই দীপাবলিকে আপনার করে নেন। এবং নিজের ঘরেতে ছেলে বা অন্যান্য সদস্যরা সেই দিন সবাই ঘরে থাকুক বা পরিবারের মাঝে থাকুক, এই জন্যেই সবাই আপ্রান চেষ্টা করেন। লোকজন খাওয়ান, সকলেই খুশিতে উদযাপন করেন। আর অবশ্যই পরিবারের সকলে একসঙ্গে দেওয়ালীর রাতে একজায়গায় হয়ে কাটাতে চেষ্টা করেন। এই জন্য এই দিন দুনিয়ার কোনায় কোনায় হিন্দুরা, সে যেই হোন … সনাতন পন্থী হোন, শাক্ত হোন, বৈষ্ণব হোন, শৈব হোন, গাণপত্য হোন, সকল মানুষ … এই দেওয়ালী উপলক্ষে আনন্দে মেতে ওঠেন, উৎসব পালন করেন।
আমাদের হিন্দু সংহতির পরিবারের পক্ষ থেকে এই উপলক্ষে সবাইকে জানাই শুভকামনা এবং তৎসহ অভিনন্দন।
কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে আমি আরও একটি আবেদন আপনাদের সামনে রাখতে চাই। বলতে চাই যে, এই অনুষ্ঠানটি কেবলমাত্র একটি বিশেষ পরম্পরা হিসাবেই যেন আবদ্ধ হয়ে না যায়। এই দেওয়ালীও আর দশটা সাধারন অনুষ্ঠানের মতই একটি অনুষ্ঠান বা কর্মকান্ড কিংবা উৎসব হিসেবেই যেন শুধু পালিত না হয়। এই দিন শ্রী রামের ঘরে ফিরে আসার দিন। যদি আমার ছেলে ঘর থেকে দূরে থাকে, সে আমার ঘরে ফিরে আসুক, এই যদি আমরা চেয়ে থাকি; তো আমাদের পুর্বপুরুষ সেই সমস্ত নিরপরাধ মানুষদের যাদের বিদেশী হামলাকারীরা নিজের ঘর এবং নিজেদের জন্মস্থান ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন, – হোক সে সিন্ধু প্রদেশ বা পাঞ্জাব, লাহোর, করাচী , … হোক না পুর্ব বাংলা কিংবা হোক ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা থেকেই হোক, … আমরা কেন ঐ দিন আমাদের নিজেদের ঘরে ফিরে যাবার সঙ্কল্প নেব না, … যখন আমাদের সামনে এমন একটা ইতিহাসের বিরাট উদাহারন রয়েছে??
আপনারা সবাই ইহুদীদের নাম শুনেছেন, এবং তাঁদের জানেন। ইজরায়েলের ইতিহাসও আপনারা কমবেশি সবাই জানেন যে, আজ থেকে প্রায় ১৮০০ বছর আগে এই ইহুদীরাই বাধ্য হয়েছিলেন নিজেদের বাসস্থান, নিজেদের জন্মস্থান, নিজেদের ভূমি … জেরুজালেম ছাড়তে। কিন্তু, যখন তারা জেরুজালেম ছাড়েন, সেই সময় তাঁদের নেতৃত্বের এতোটাই দূরদৃষ্টি ছিল যে, সেই নেতৃত্ব সেই সময় ইহুদীদের বলেছিলেন যে, … “আজ না হয় আমরা দুর্বল, না হয় আমরা আজ পরাজিত, না হয় আজ আমরা আমাদের জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি। … কিন্তু কোন দিন কখনো না কখনো ঠিকই আমরা আমাদের এই ভূমিতেই ফেরৎ আসব। … আসবই। এই জন্যেই ভাইয়েরা, – প্রতি বছর তোমাদের একটি বিশেষ দিনে এই সংকল্প নিতে হবে”।
– অতয়েব ইহুদীদের নির্দিষ্ট একটি অনুষ্ঠানের দিনে বিশেষ তিথি উপলক্ষে সারা পৃথিবীর ইহুদীরা সে যেখানেই থাকুন না কেন, নিজেরা সবাই ঘরের একজায়গায় একত্রিত হতেন। সেখানে এসে তারা সমবেত হয়ে একটি-ই সঙ্কল্প গ্রহণ করতেন, … “এই বছরের অনুষ্ঠান আমরা এখানে পালন করছি, কিন্তু সামনের বছর আমরা এই অনুষ্ঠানকে জেরুজালেমে’র মাটিতে গিয়েই পালন করব। … Next year to Jerusalem, … Next year to Jerusalem ( আসছে বছর জেরুজালেম, … আসছে বছর জেরুজালেম )”
এই Next year বা পরের বছরটা তাদের এল কবে?
– তাদের Next year এল প্রায় ১৮০০ বছর পরে। এই ১৮০০ বছর ধরে ইহুদী জাতীকে সারা পৃথিবীর প্রচুর অত্যাচার অপমান … অকারন লাঞ্ছনা, গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছিল। মনে করে দেখুন, আজ থেকে কমসেকম প্রায় ৫০০ বছর আগে, সেই সময় ইংল্যান্ডের একজন বিখ্যাত নাট্যকার ও কবি সেক্সপিয়ারও এই ইহুদীদের নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি। তিনি তাঁর বিখ্যাত “দ্যা মার্চেন্ট অফ ভেনিস” নাটকে ‘সাইলক দ্যা জিউ’ বলে সারা পৃথিবীর ইহুদীদের অপমান ও বেইজ্জতি করেছেন। সেইখান থেকে শুরু করে ন্যাৎসি হিটলারের নাৎসিজমের ভয়াবহ হত্যালীলায় ৬ মিলিয়ান ইহুদীকে গ্যাসচেম্বারে নির্মম ভাবে সংহার করা হয়। এত অত্যাচার অপমানের পাহাড় সহ্য করার পরেও ১৯৪৮’সালে এই ইহুদীরা নিজেদের জায়গায় ফিরে যেতে সক্ষম হন। এবং নিজেদের মাটির উপর ইহুদী আধিপত্য স্থাপন করতে সক্ষম হন। এই ভাবেই জন্ম নেয় ইজরায়েল … এক স্বাধীন ইহুদী হোমল্যান্ড। পৃথিবীর মানচিত্রে মাথা তুলে সগর্বে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয় অমিতপরাক্রমশালী এক ইহুদী রাষ্ট্র।
– তাহলে নিজেদের এই অধিকার পুনঃস্থাপনের পিছনে ইহুদীদের সেই গোপন রহস্যটি কি ছিল?
তাদের শক্তি নয়, অর্থও নয় … নয় বিদ্যাবুদ্ধি। কেবল সঙ্কল্প ছিল …। ছিল এক সুদৃঢ় বজ্রকঠিন প্রতিজ্ঞা।। “… Next year to Jerusalem” ( আসছে বছর জেরুজালেম ), যা পুরুষানুক্রমে তারা সঞ্চারিত করে এসেছিল নতুন প্রজন্মের অন্তরে। এক-দুই বছর ধরে নয় … সুদীর্ঘ ১৮০০ বছর ধরে ..!!
আমাদেরও এর মধ্যে বিদেশি হানাদারদের হাতে আক্রান্ত হয়ে বারংবার দেশ ছোট হয়েছে। আমাদের থেকে গান্ধার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, পাঞ্জাব ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে (দুই-তৃতীয়াংশ), সিন্ধু-বালুচিস্তান ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, বাংলাও কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে (দুই-তৃতীয়াংশ)। এবং সেই সমস্ত ছিনিয়ে নেওয়া জায়গা থেকেই রিফিউজি বা উদ্বাস্তু হয়ে আমাদের পুর্বপুরুষেরা বর্তমানের মূল ভারত ভূখণ্ডে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। আমাদের রাষ্ট্র লক্ষ বছরের পুরানো। আমরা আবার আমাদের নিজেদের পুরানো জায়গায় ফিরে যাবো, আমাদের পুর্বপুরুষের জন্মভূমি সেই সব বিদেশী বিধর্মী হানাদারদের হাত থেকে দখলমুক্ত করব।
… আজকের দিনে দাঁড়িয়ে, এই সঙ্কল্প কেন নিতে পারব না??
অতয়েব এই দীপাবলি উপলক্ষে প্রভু শ্রী রামচন্দ্রের ঘরে ফিরে আসার ঘটনাকে স্মরণ করে এই পূন্য তিথিতে সারা বিশ্বের সমস্থ হিন্দু, বিশেষ করে সকল উদ্বাস্তু বাঙ্গালী হিন্দু এই প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করুন যে,… “আমরাও কোন না কোন দিন ঠিকই আমাদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জমিতেও ঠিক নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব, এবং জমিও নিশ্চিত ফেরৎ অবশ্যই পাবো। আমাদের পুর্বপুরুষের জন্মভূমি আমরা বিধর্মীমুক্ত করবই… করব। এই দীপাবলি আমাদের জন্যেও গৃহপ্রত্যাবর্তনকারী দিনের সঙ্কল্প বয়ে আনুক”। পরিবারের সকল সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে সমবেত ভাবে আজ অবশ্যই এই সঙ্কল্প গ্রহণ করুন। এবং অবশ্য-অবশ্য পরিবারের আগামী প্রজন্মের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যটির মধ্যেও সঞ্চারিত করে দিন। শুভ দীপাবলি’র আলোর রোশনাইয়ের সঙ্গে সমোজ্জ্বল হয়ে উঠুক …. প্রতিটি হিন্দুর ঘরওয়াপসীর বিমূর্ত সঙ্কল্প।
– এই আহ্বান আমি আজ হিন্দু সংহতির তরফে সমগ্র পৃথিবীর সমস্ত হিন্দুর কাছে উপস্থাপিত করে গেলাম।
ভারত মাতা কি জয় …।
জয় মা কালি ….
হর হর মহাদেব …..।।
( মূল ভাষ্যঃ শ্রী তপন কুমার ঘোষ মহাশয়; মাননীয় সভাপতি, হিন্দু সংহতি )
[ সঙ্কলকঃ শ্রী নিহারন প্রহারন ]