দেশে এমন দিন আসিতেছে যে বুয়েট, মেডিক্যাল, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চাইতে কওমী মাদ্রাসা গুলিতে ভর্তির জন্য ছাত্রদের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হইবে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বড় বড় শহরে মাদ্রাসা কোচিং সেন্টারে এক দুই লাখ টাকা খরচ করিয়া হাফেজ, আলিম, ফাজিল বিভাগে চান্স পাইতে হইবে। সেখানে মৌলিক ধর্মের পাশাপাশি ফলিত ধর্মের ফ্যাকাল্টি থাকিবে। ফলিত ধর্মের এমিরিটাস প্রফেসর হইবেন মাওলানা আজাহারি, মাওলানা রাজ্জাক, মাওলানা ইব্রাহিম প্রমুখের মতো স্কলার । তাহারা ওয়াজ করার টেকটিক্যাল দিক সম্পর্কে শিক্ষা দান করিবেন। যেমন কতটুকু চাপার সঙ্গে কতটুকু বিনোদন মিশাইলে পাবলিক খাইবে ভাল। কখন গলা বাড়াইতে হইবে, কখন গলা নামাইতে হইবে কখন চিক্কুর দিয়া গলা ফাটাইতে হইবে ইত্যাদি। সেখানে ধর্মীয় ললিতকলা বিভাগ থাকিবে তাহারা বিনোদন সার্কাস নৃত্যের মাধ্যমে ওয়াজের কৌশল শেখাইবে। মাওলানা তাহেরীর মতো স্কলাররা সেই বিভাগের শিক্ষক থাকিবেন।
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কৃষিবিদ না হইয়া কেন মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য দেশের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে এত প্রতিযোগিতা হইবে তাহার একটা হিসাব আছে। একজন ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার প্রতি মাসে যে মাল কামাই করেন তাহা গড়ে এক লক্ষের বেশী নয়, বলেন ঠিক কিনা , যদি ইঞ্জিনিয়ার সাব ঘুষ না খান। ঘুষ খাওয়া হালাল ইনকাম নয়।
এখন আসুন একজন ওয়াজি হুজুরের ইনকাম নিয়া একটু কথা কই। একজন সি গ্রেডের ওয়াজি হুজুরের ইনকাম এখন মাসে কম পক্ষে তিন চার লক্ষ টাকা। সেই ইনকাম আবার ট্যাক্স ফ্রি। সঙ্গে ফাইব স্টার হোটেলে থাকা খাওয়া হেলিকপ্টারে যাতায়াত একদম ফ্রি। সলিড ইনকাম, কি বলেন? তাছাড়া হুজুরদের এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের মন্ত্রীর চাইতেও বেশি সম্মান। মিটিং মাহফিলে হুজুর বাহাদুরদের জন্য বড় কুরসি আর পাশেই জন প্রতিনিধিদের জন্য ছোট কুরসি থাকে। মন্ত্রীর পাশে ডাক্তারের পাশে পুলিশের পাশে হুজুর হেঁটে যান আম জনতা সবাইকে বাদ দিয়ে বলেন আস্লামালাইকুম হুজুর। হুজুর মুচকি মুচকি হাসেন আর বলেন.. বুয়েট মেডিক্যালে পড়ে কি বা*ল পাইলি রে তোরা? , তোদের ইহকাল পরকাল সব মাটি, আর দ্যাখ তোগো মতো অংক ইংরেজি না শিইখাও আমার কত ইজ্জত!! আমার কত মালপানি।