নাইজেরিয়া কি দুইভাগ হবে?
গত পরশু স্কুল থেকে ৩০০ বাচ্চাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে বোকো হারাম সদস্যরা, স্কুল কলেজের শিক্ষা হারাম এই বলে কয়েকদিন পর পরই উত্তর নাইজেরিয়ায় স্কুলে হামলা চালায় বোকো হারাম জ-ঙ্গিরা।
স্কুল টিকতেই পারেনা উত্তর নাইজেরিয়ার কিছু অঞ্চলে, বোমা মেরে ২দিন পর পরই উড়িয়ে দেয়, শিশু হত্যা করে, মানুষ হত্যা করে।
নাইজেরিয়াকে খুব কম মানুষই জঙ্গি দেশ হিসেবে পরিচয় দেয়। প্রায় প্রতিবার বিশ্বকাপেই আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলা পরে নাইজেরিয়ার, তাই কোনো অচেনা দেশনা আমাদের কাছে।
জনসংখ্যা ২০ কোটি, জন্মহার আকাশচুম্বী। ধর্ম? এখানেও স্বাধীনতার ভয়টা আসে তাদের।
নাইজেরিয়ার ৫০ ভাগ মুসলিম, ৪৬ ভাগ খ্রিস্টান, ৪ ভাগ আফ্রিকান স্থানীয় ধর্ম। মানে প্রায় ১০ কোটি খ্রিস্টান আছে।
নাইজেরিয়ার উত্তর ভাগ মুসলিম প্রধান
নাইজেরিয়ার দক্ষিণ ভাগ খ্রিস্টান প্রধান।
বোকো হারামের হামলা গুলো হয় মুলত উত্তর নাইজেরিয়ায়। স্কুলে, বসতিতে হামলা চালিয়ে শিশু, মেয়ে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় কয়েক হাজার মানুষ মারা গিয়েছে। কয়েকদিন আগে ৪৩ জন কৃষককে হত্যা করেছে। এলাকার পর এলাকা মানুষ ছেড়ে চলে যাচ্ছে সেখানে স্কুলে হামলার পর থেকে। উত্তরের কয়েকটি এলাকায় সব স্কুল অফ করে দিয়েছে। স্কুলে যায়না মানুষ ভয়ে। অস্বাভাবিক গতিতে জন্ম হার তো বাড়ছেই 🙂
একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে ২১০০ সালে নাইজেরিয়ার জনসংখ্যা হবে ৭০ কোটি, যা এখন ২০ কোটি। বাংলাদেশের যেখানে দেখানো হয়েছে হবে ১৬ কোটি।
২দিন আগে যেই হামলা হয়েছে তা হয়েছে উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে। মানে ধীরে ধীরে বোকো হারাম তাদের জায়গা বিস্তৃত করছে। এভাবে যদি তারা দেশের খ্রিস্টান অঞ্চলে চলে যায় মানে দক্ষিণ নাইজেরিয়ায় যেখানে ১০ কোটি খ্রিস্টান আছে তাহলে হয়তো আসন্ন ভবিষ্যতে নাইজেরিয়ার খ্রিস্টানরা নিজেদের বাচাতে স্বাধীনতার ডাক দিলে অবাক হবোনা।
একসময় আফ্রিকার ভবিষ্যত ভাবা হতো নাইজেরিয়াকে, আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ তারা। কিন্তু দিন দিন এ কি হচ্ছে?
যেমন দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হয়েছে।